লোকসভা নির্বাচন শিয়রে। চলতি সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে ‘দিল্লি দখলের লড়াই’। দেশের কমবেশি প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল বর্তমানে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে। প্রথম দফার ভোটের আগে মঙ্গলবার উত্তরে জোড়া সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই নির্বাচনী প্রচার থেকে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন মোদী। এদিন বালুরঘাটে সভা করার পর রায়গঞ্জ সভা করতে আসেন মোদী।
মোদীর সভাকে কেন্দ্র করে এদিন সেজে উঠেছে রায়গঞ্জ শহর। চারিদিকে বিজেপি-র পোস্টার এবং গেরুয়া রঙে ভরে গিয়েছে রাস্তাঘাটের একাংশ। এই প্রথম রায়গঞ্জে তথা উত্তর দিনাজপুর জেলায় সভা করতে এলেন প্রধানমন্ত্রী। ফলত, বিজেপি কর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট উন্মাদনা চোখে পড়েছে। রায়গঞ্জ কার্তিক পালকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। দ্বিতীয় দফায়, ২৬ এপ্রিল ভোট হবে রায়গঞ্জে।
বালুরঘাটের পর রায়গঞ্জের জনসভাতেও ভিড়। এদিন বন্দেভারত থেকে বুলেট ট্রেনের কথা তুললেন মোদী। পূর্বভারতে বুলেট ট্রেন ছুটবে। বললেন, দিল্লি থেকে আপনাদের ছেলে আপনাদের চিন্তা করে। বয়স্কদের চিকিৎসা এবার ফ্রিতে হবে।
বিজেপি সরকার বাংলার ৬ কোটি গরিবকে ফ্রিতে রেশন দিচ্ছে।
বাংলার বিকাশই মোদীর লক্ষ্য। সভা থেকে মোদীর প্রশ্ন, বাংলার বিকাশ কে করতে পারে?
মোদী জানান, ১০ বছরে যা হল, তা ট্রেলার। তুললেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথাও। বললেন, শ্যামাপ্রসাদ কাশ্মীরের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তিনিই তাঁর প্রেরণা।
১০০ দিনের কাজের প্রসঙ্গ তুললেন
মোদী বলেন ১০০ দিনের কাজের টাকাও রাজ্য সরকার হজম করে নিয়েছে। কেন্দ্র টাকা দিলেও সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না। তৃণমূল বাংলাকে গরীব বানিয়ে রাখতে চায়।
বিভাজনের শিকার বাংলার মানুষ
তৃণমূল নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন সিএএ বিরোধিতা করছে, মিথ্যে কথা বলছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের সংরক্ষণ দিচ্ছে। ভোট ব্যাঙ্ক বানানোর জন্য ব্যবহার করছে। মমতা দিদির সরকারে বোন-মেয়েরা নিরাপদ নয়।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা হয় তৃণমূলের শাসনে
এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা হয়। তৃণমূল মানে পরিবারবাদ ও দুর্নীতি।