আজ পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় দেবাংশু ভট্টাচার্যর সমর্থনে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আবারও গদ্দার বলে আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা বান্দোয়ানের সভা থেকে জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু। শুক্রবার সন্ধে সাতটায় মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারি, মুখোশ খুলে দেবেন।
বৃহস্পতিবার হলদিয়ায় জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মমতা বলেন, 'একদল লোকের খুব মজা, তৈরি হবে, চাকরি-বাকরি পাবেন। আরেক দল গদ্দাররা, তারা কিন্তু ভাববেন না যে এই সুযোগে তাদের পকেট ভারী হবে। এটা ভাবার জায়গাটা করবেন না। মনে রাখবেন বন্ধুরা, যখন টিচারদের চাকরি গেল, বাবু বললেন, বোমা ফাটাবেন। আমরা ভাবলাম কোথা থেকে বোমা-গুলি-টুলি কিনেছে হয় তো। ও মা! বলে কিনা ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি ছাঁটাই। আমি সেদিনই বলেছিলাম, ওদের সঙ্গে আছি, ওদের সঙ্গে থাকব, আর যা-যা আইনি লড়াই দরকার করব।'
পাল্টা শুভেন্দু বলেন, 'লাফিয়ে লাফিয়ে বক্তৃতা করছেন হেলিকপ্টার রানি , হেলিক্টার চড়ে আসছেন আর লাফিয়ে লাফিয়ে ভাষণ দিচ্ছেন। কিছুদিন আগে আমার আলিপুরদুয়ারের জনজাতি বোন-দিদিদের হাত ধরে নাচছিল। আপনারা কি দুটো হাত দেখেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর? দুটো হাতে গ্লাভস লাগানো ছিল। আপনারা দেখেননি ছবি। ওইদিনই ওই ছবিতে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কালকেও নাচবে, বলবে আমরা মাদল কোথায়, আমার ধামসা গেল কোথায়, বলবে সিধু ও কানুবাবুর পরিবার আছে, ডহরবাবুর কোথায়। আরে এই মূর্খ মুখ্যমন্ত্রী জানে না ডহর মানে রাস্তা। কাল অবশ্য গ্লাভস থাকবে না। আমি ২ কোটি ২৮ লক্ষ লোকের প্রতিনিধি। এর চুরি চামারি, যতরকম লম্পটগিরি আর মিথ্যাচার ভান্ডা ফোড় করে দিয়েছি।'
এরপরেই শুভেন্দু বলেন, 'আজ হলদিয়াতে খুব গালাগালি করেছে। গদ্দারবাবু বলেছে, কাল উত্তর দেব সন্ধে সাতটায়। এখানে কিছু বলব না। হলদিয়ার দুর্গাচকে বলব কাল। সব ধরে ধরে উত্তর দেব। আপনার সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের ডাক্তার দাসের কী সম্পর্ক, সেটাও কালকে বলব। সব বলব, আমি জানি। আপনি কী কী কাণ্ড করেন। আপনার মুখ আর মুখোশ, সবাই জানে।'