scorecardresearch
 

Saumitra Khan: হঠাত্‍ অভিষেকের প্রশংসায় BJP-র সৌমিত্র, বলছেন, 'রাজ্য নেতৃত্বের গাফিলতি'

এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বাল ফল করতে পারেনি বিজেপি। গতবারের তুলনায় এবার হারাতে হয়েছে ৬টি আসন। গতবারের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী এবার পরাজিত হয়েছেন। পুরনো অনেক আসনও ধরে রাখতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তবে শেষপর্যন্ত নিজের আসন ধরে রাখতে পেরেছেন সৌমিত্র খাঁ। বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে ৫ হাজার ৫৬৭ ভোটে শেষপর্যন্ত জয়লাভ করেছেন সৌমিত্র। তৃণমূল প্রার্থী তথা নিজের প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলের বিরুদ্ধে জিতলেও ব্যবধান বেশি নয় সৌমিত্রর। আর এই জয়ের পরেই বাংলার বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি।

Advertisement
অভিষেককে প্রশংসায় ভরালেন সৌমিত্র অভিষেককে প্রশংসায় ভরালেন সৌমিত্র


এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বাল ফল করতে পারেনি বিজেপি। গতবারের তুলনায় এবার হারাতে হয়েছে ৬টি আসন। গতবারের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী এবার পরাজিত হয়েছেন। পুরনো অনেক আসনও ধরে রাখতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তবে শেষপর্যন্ত নিজের আসন ধরে রাখতে পেরেছেন সৌমিত্র খাঁ। বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে ৫ হাজার ৫৬৭ ভোটে শেষপর্যন্ত জয়লাভ করেছেন সৌমিত্র। তৃণমূল প্রার্থী তথা নিজের প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলের বিরুদ্ধে জিতলেও ব্যবধান বেশি নয় সৌমিত্রর। আর এই জয়ের পরেই বাংলার বিজেপির  রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি।

জয়ের পর সংবাদ মাধ্যমের কাছে দলের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূলের সেটিংয়ের অভিযোগ এনেছেন সৌমিত্র খাঁ। সেই সঙ্গে দলের মাথায় অনভিজ্ঞ লোককে বসিয়ে, অভিজ্ঞ লোকেদের নিচে নামিয়ে রাখার মতো বিস্ফোরক অভিযোগও করলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। সৌমিত্রি  জানিয়েছেন যে রাজ্য নেতৃত্বের গাফিলতির জন্যই রাজ্যে এই হার। যদিও দিল্লির নেতৃত্বদের সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। সৌমিত্র খাঁর  কথায়, ” আরএসএস না থাকলে ওই কয়েকটা আসন আমরা পেতাম না।” এখানেই শেষ নয়, তাঁর মুখে শোনা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা। সৌমিত্র বলেন, অভিষেকরা এক-একটা লোকসভার দুটি করে বিধানসভা টার্গেট করে নিয়েছিল। ভোট হওয়ার দিন থেকেই তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীরা সতর্ক প্রহরায় ছিল। সেখানে বিজেপির নেতৃত্ব সেটা করেননি। অভিষেকের ইঙ্গিতও বোঝেননি। প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলের প্রশংসা করে সৌমিত্র বলেছেন,” সুজাতা ভাল ফল করেছে। ও ভাল খেটেছে।’তিনি আরও দাবি করেছেন যে, বিজেপি রাজ্য স্তরে এমন নেতা নেই যিনি জিতে এসেছেন, যার অভিজ্ঞতা আছে। 

প্রসঙ্গত এদির হারের পর মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষও। হারের পর অবশ্য কারণ হিসাবে সরাসরি কিছু না বললেও অন্তর্দ্বন্দ্বকেই দায়ী করছেন দিলীপ। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, “ চক্রান্ত এবং কাঠিবাজি রাজনীতির অঙ্গ। আমি ব্যাপারটা সেভাবেই নিয়েছি। তার পরেও যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সফলতা আসেনি। রাজনীতিতে সবাই কাঠি নিয়ে ঘুরতে থাকে।” প্রশ্ন উঠেছে উনি কি রাজ্য নেতৃত্বকেই এই বিষয়ের জন্য দায়ী করলেন? এদিন অনেকটা দিলীপের সুরেই কথা বললেন সৌমিত্র খাঁ।

আরও পড়ুন

Advertisement

২০১৯ সালের তুলনায় সৌমিত্র খাঁর জয়ের  ব্যবধান এবার  অনেকটাই কমেছে। মঙ্গলে টানটান লড়াই ছিল বিষ্ণুপুর আসনে। প্রথমের দিকে গণনার সময় কখনও সৌমিত্র আবার কখনও তৃণমূলের সুজাতা মণ্ডল এগিয়ে যেতে থাকেন।  সন্ধেবেলাতেই জানা যায়, ৫৫৬৭ ভোটে জিতে গিয়েছেন  সৌমিত্র খাঁ। এরপরই স্ট্রংরুমে তুলকালাম বেঁধে যায়। ভোটের চূড়ান্ত ফল সামনে আসতে আসতে রাত ১০ টা বেজে যায়।  এরপরেই দলের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূলের সেটিংয়ের অভিযোগও তোলেন সৌমিত্র। তবে তৃণমূলে ফেরার বিষয়ে সৌমিত্র বলেন,  বারবার দল বদল করা যায় না,  দলে গুরুত্ব না পেলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। 

Advertisement