শেষপর্যন্ত ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হলেন না নওশাদ সিদ্দিকী। প্রার্থী করা হল মজনুল নস্করকে। তাহলে কি হারার ভয়ে পিছিয়ে গেলেন নওশাদ? আইএসএফের দাবি,'নওশাদ সিদ্দিকী ভয় পান না। জোট উভয়পক্ষের বিষয়। একপক্ষের ইচ্ছায় জোট হয় না'।
যাদবপুরে সিপিএম প্রার্থী করেছে এসএফআইয়ের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। নূর আলম খানকে ওই কেন্দ্রে টিকিট দিয়েছে আইএসএফ। তিনি পেশায় আইনজীবী। এছাড়া শি বালুরঘাট, উলুবেড়িয়া, ব্যারাকপুরের জন্যও এ দিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে নওশাদের দল। বালুঘাটে প্রার্থী মোজাম্মেল হক। উলুবেড়িয়াতে মফিকুল ইসলাম এবং ব্যারাকপুরে জামিল হোসেন দাঁড়িয়েছেন আইএসএফের টিকিটে। সিপিএমের সঙ্গে জোটের কথা চলছিল আইএসএফের। তা সত্ত্বেও শ্রীরামপুরে প্রার্থী দিয়েছিল তারা। এবার বাকি আসনেও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হল দলের তরফে। তাহলে কি জোট হল না? সিপিএম-কে বিঁধে নওশাদ বলেন,'আমরা সমঝোতা করতে করতে ৭টি আসনে পৌঁছলেও সবুজ সংকেত পাইনি। অথচ এরাই বলে বিজেপি বিরোধী। আমরা ফ্যাসিস্ত শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি'।
ডায়মন্ড হারবারে অভিষেককে হারানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। কিন্তু ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেলেও প্রার্থী দেয়নি তাঁর দল। দু'দিন আগে bangla.aajtak.in-কে নওশাদ জানিয়েছিলেন,'প্রথম দিনে আমার যে আত্মবিশ্বাস ছিল, আজও সেই আত্মবিশ্বাসই আছে। আমি একশো শতাংশ দিয়ে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত আছি। শুধুমাত্র দলের অনুমোদনের অপেক্ষা। দল অনুমোদন দিলেই ওখানে আমি লড়াই করব। বর্তমান যিনি বিদায়ী সাংসদ আছেন, তাঁকে হারাব। ওখানে হারের কোনও প্রশ্নই নেই। আমি লড়াই করলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেন'।
নওশাদ রণে ভঙ্গ দেওয়ায় কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র তথা তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য টুইট করেছেন,'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চেয়ে, নিজেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারপর নিজেই সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়াকে নৌশাদ সিদ্দিকী বলে। এই জন্যই আমরা বলি পান্তা ভাত খেয়ে বিরিয়ানির ঢেঁকুর তোলা উচিৎ না'।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চেয়ে, নিজেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারপর নিজেই সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়াকে নৌশাদ সিদ্দিকী বলে। এই জন্যই আমরা বলি, পান্তা ভাত খেয়ে বিরিয়ানির ঢেঁকুর তোলা উচিত না।
— Debangshu Bhattacharya Dev (@ItsYourDev) April 4, 2024
ঘটনা হল, শ্রীরামপুর নিয়ে সিপিএমের সঙ্গে আইএসএফের দূরত্বের সূচনা। সূত্রের খবর, শ্রীরামপুরে দীপ্সিতা ধরকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। শ্রীরামপুর থেকে সিপিএম-কে প্রার্থী প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেছিল আইএসএফ। কিন্তু সিপিএম নেতৃত্ব জানিয়ে দেয়, শ্রীরামপুর থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার আইএসএফ প্রার্থী ঘোষণার পর সমঝোতার শেষ বাতিও নিভল, মত ওয়াকিবহাল মহলের।