প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন বাংলায়। ভোট ঘোষণার পর এবার রাজ্যে প্রচারে এলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উত্তরবঙ্গ দিয়েই বঙ্গে ভোট প্রচার শুরু করলেন শাহ। আর এখান থেকেই লোকসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপি কত আসন পাবে সেই ঘোষণাও করে দিলেন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলায় লোকসভা ভোটে ৩০ আসন পেলেই অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরে নির্বাচনি জনসভা থেকে এমনটাই দাবি করলেন অমিত শাহ। এদিন অনুপ্রবেশকারীরাই মমতার ভোট ব্যাঙ্ক একথা বলেও কটাক্ষ করেন শাহ।
প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলায় এসে ৩৫টি আসন বিজেপি পাবে বলে ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর শাহের মুখে শোনা গিয়েছিল ২৫টি আসনের কথা। আর এবার দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে বাংলা থেকে ৩০ আসন পাওয়ার ঘোষণা করলেন শাহ। প্রসঙ্গত, বছর খানেক আগে শাহ নিজেই রাজ্যের জন্য ৩৫ আসনের টার্গেট বেঁধে দেন। মাস কয়েক আগে সেটা নিজেই নামিয়ে আনেন ২৫-এ। এখন আবার নিজেই বলছেন, বাংলায় ৩০ আসন চাই।
বুধবার বালুরঘাটের বুনিয়াদপুর থেকে সভায় অমিত শাহ বলেন, "এবারে বিজেপির আসন ১৮ থেকে বাড়িযে ৩০ করতে হবে!" শাহের কথায়, ২০১৪-য় দু’টি আসন দিয়েছিলেন, ২০১৯-এ দিলেন ১৮টি আসন। ২০২৪ সালে ১৮ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করতে হবে। যাতে বিজেপির ৩৭০ আসন নিশ্চিত হয়। এরসঙ্গেই অমিত শাহ যোগ করেন, বিজেপি অসমে অনুপ্রবেশ খতম করেছে। বাংলায় লোকসভা ভোটে ৩০ আসন পেলে এখানে সীমান্ত টপকে কোনও ‘পরিন্দা’ও ঢুকতে পারবে না।
শাহ বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি নেতারা বহিরাগত। আমি বলতে চাই, আপনি ভারতবর্ষকে এখনও চেনেননি। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় চেয়েছিলেন কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা উঠে যাক। সেই স্বপ্ন সফল করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। ১৬ তারিখে মোদীজি আসছেন। এই সিট আমরা নরেন্দ্র মোদীকে উপহার দেব। মোদীজিকে আবার প্রধানমন্ত্রী বানাতে বাংলায় ৩০ আসন পার করতে হবে কি হবে না? আমি নেমেই অধ্যক্ষকে বলেছি, যা ভিড় হয়েছে, এই সভায়, আর কী বলার আছে, নির্বাচনে আপনি জিতেই গিয়েছেন। এই গোটা এলাকায় যে দারিদ্র ছড়িয়েছে, তার করেছে বাম ও তৃণমূল। ২০১৪ সালে এসেছিলাম দুটো আসন দিয়েছিলেন। ১৯ সালে আপনারা ১৮টি আসন দিয়েছেন।মোদীজি ৩০০ -র বেশি আসন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন। ২০২৪ সাল ১৮ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করতে হবে।
এনআরসি নিয়ে বালুরঘাটের সভায় শাহ বলেন, ‘‘হাতজোড় করে বাংলার জনতাকে বলতে চাই, মমতা দিদি বাংলার লোকেদের বোকা বানাচ্ছেন। আমি বলতে চাই, ভয় না পেয়ে যত শরণার্থী এসেছেন, তাঁরা যেন নাগরিকত্বের আবেদন করেন। কারও নাম বাদ যাবে না।’’ পাশাপাশি ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের মামলায় এনআইএ তদন্ত নিয়েও প্রতিক্রিয়া দেন শাহ। বলেন, ‘‘সবাইকে উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করা হবে।’’ শাহ বলেন বলেন, ‘‘এত রাগে বোতাম টিপবেন বালুরঘাটে, যেন কলকাতায় মমতা দিদির গায়ে কারেন্ট লাগে।’’