আবারও কেন্দ্রে মন্ত্রী হচ্ছেন বনগাঁর নির্বাচিত সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তিনি তৃতীয় মোদী সরকারের মন্ত্রী হবেন। তবে ক্যাবিনেটে স্থান পাবেন নাকি প্রতিমন্ত্রী হবেন, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। মন্ত্রী হওয়ার জন্য তাঁর কাছে ফোন এসেছিল। বেলা সাড়ে ১১টায় ভাবী মন্ত্রীদের সঙ্গে চা-চক্রে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে যাওয়া নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও মন্ত্রী হচ্ছেন JD(U) থেকে লালন সিং, রামনাথ ঠাকুর। টিডিপি থেকে মন্ত্রী হচ্ছেন কিঞ্জারাপু রামমোহন নায়ডু,জেডিএস-র এইচডি কুমারস্বামী, অর্জুনরাম মেঘওয়াল, সর্বানন্দ সোনোওয়াল, অনুপ্রিয়া প্য়াটেল। মন্ত্রী হচ্ছেন চিরাগ পাসোয়ান, জিতন রাম মাঞ্জি। ফের মন্ত্রী হচ্ছেন এস জয়শঙ্কর, অশ্বিনী বৈষ্ণব, নিতিন গডকড়ী, পীযূষ গোয়েল। মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ৪টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক নিজেদের কাছে রাখতে চলেছে। এই চারটি মন্ত্রক হল অর্থ, বিদেশ, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা। এ ছাড়া বাকি মন্ত্রি পদগুলি জোট শরিকদের দিতে পারে বিজেপি।
২০১৯ সালের পরে এ বারও বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। বনগাঁ কেন্দ্রে এ বার তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। তিনি ৭৩ হাজার ৬৯৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর পেয়েছেন ৭ লক্ষ ১৯ হাজার ৫০৫ ভোট। বিশ্বজিৎ পেয়েছেন ৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮১২ ভোট।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে নরেন্দ্র মোদী তাঁর বাসভবন ৭ লোক কল্যাণ মার্গে নতুন মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান যখন চলবে, তখন রাজধানী দিল্লি ও রাষ্ট্রপতি ভবনকে ঘিরে থাকবে নিরাপত্তার দুর্ভেদ্য বৃত্ত। রবিবার সন্ধে ৭টা ১৫ মিনিটে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। এরপর বাকি মন্ত্রীরা শপথ নেবেন এক এক করে।