২০১৪ সালে অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে বিঁধেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রথম দফার ভোটের প্রাক্কালে রায়গঞ্জের সভায় আবার মোদীর মুখে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গ। মোদী দাবি করেন, বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গাদের মতো অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে রাজ্যের জনবিন্যাস ও আইনশৃঙ্খলা তছনছ করে দিয়েছে তৃণমূল।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রসঙ্গ তুলে মোদী এ দিন বলেন,'দেশভাগের শিকার লোকেদের নাগরিকত্ব দিতে চায় না তৃণমূল। নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন সিএএ-র বিরোধিতা করছে। বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে ওরা। বাংলাদেশি, রোহিঙ্গাদের মতো অনুপ্রবেশকারীদের বাংলার জনবিন্যাস ও আইনব্যবস্থা তছনছ করার অনুমতি দিয়েছে তৃণমূল। এই অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেয় ওরা। ভোটব্যাঙ্কের জন্য বাংলার ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে'। তিনি যোগ করেন,
'তৃণমূলের লোকেরা ভোটদাতাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। ভোটারদের ধমকানোর অনুমতি রয়েছে'।
সন্দেশখালি নিয়ে মোদী
প্রধানমন্ত্রী এ দিন বলেন,'মা-বোনেরা সুরক্ষিত নয় বাংলায়। সন্দেশখালির ঘটনায় গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। মা-বোনেদের সঙ্গে অত্যাচার করেছে তৃণমূল। তাদের গোলাম করে রেখে দিয়েছিল। শিক্ষা ও সংস্কৃতির জন্য পরিচিত বাংলা। দেবীর পুজো করা বাংলাকে এরা এমন অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছে! সন্দেশখালির গুন্ডা ও মাফিয়াদের মহিলাদের উপর অত্যাচার করার অনুমতি কারা দিল? মহিলা সংগঠন ও অন্যান্য মহিলারা যখন ওই বোনেদের চোখের জল মুছতে গিয়েছিলেন, কেন তৃণমূল সরকার অনুমতি দিল না? এই ঘোর পাপের জন্য শাস্তি দেবেন ওদের?'
রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা
রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গেরুয়া শিবিরের দিকে তোপ দেগেছেন। হাওড়ায় রাম নবমীর শোভাযাত্রার রুট নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। বালুরঘাটের সভায় এনিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মোদী। রায়গঞ্জের সভাতেও একই ইস্যুতে সুর চড়ালেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন,'বাংলায় রাম নবমীর শোভাযাত্রার অনুমতি মেলে না। সেজন্য ভক্তদের আদালতে যেতে হচ্ছে। কিন্তু রাম নবমী ও আর দুর্গাপুজোর শোভাযাত্রায় পাথর যারা ছোড়ে, তাদের অনুমতি দিয়ে রেখেছে তৃণমূল'।