নওশাদ সিদ্দিকী।লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বামেদের সঙ্গে জোট ভেস্তে গেল আইএসএফের। ভোটে একলা লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করলেন দলের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। একইসঙ্গে জানালেন ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুরের মতো কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে আইএসএফ। তবে ডায়মন্ডহারবারে তিনি লড়বেন কি না, এই নিয়ে এখনও জল্পনা জিইয়ে রাখলেন ভাঙড়ের বিধায়ক।
জোট ভেস্তে যাওয়ার প্রসঙ্গে বামেদের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন নওশাদ। কংগ্রেসকেও কটাক্ষ করেছেন নওশাদ। তাঁর অভিযোগ, 'জোট চেয়েছিলাম। বামেরাই জোট করল না। জোট নিয়ে আলোচনা চলেছে। কিন্তু আলোচনা করতে গিয়ে সময় নষ্ট হচ্ছে। সদর্থক কিছু হচ্ছে না। তাই প্রার্থী ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছি।'
আজ সন্ধ্যা ৭টায় প্রার্থী ঘোষণা করবে আইএসএফ। ডায়মন্ডহারবারে কি প্রার্থী হবেন? এই প্রসঙ্গে এখনও ভাঙেননি নওশাদ। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, '১০০ শতাংশ মানসিক প্রস্তুতি রয়েছে। তবে দল অনুমোদন দিল নাকি অন্য কাউকে, সেটা দেখুন না কী হয়। সন্ধ্যা ৭টায় পরিষ্কার হয়ে যাবে।'
কয়েক মাস আগে নওশাদ দাবি করেছিলেন, ডায়মন্ডহারবারে তিনি অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন। তবে পরে নওশাদ বলেন,'প্রথম দিনে আমার যে আত্মবিশ্বাস ছিল, আজও সেই আত্মবিশ্বাসই আছে। আমি একশো শতাংশ দিয়ে ডায়মন্ডহারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত আছি। শুধুমাত্র দলের অনুমোদনের অপেক্ষা। দল অনুমোদন দিলেই ওখানে আমি লড়াই করব। বর্তমান যিনি বিদায়ী সাংসদ আছেন, তাঁকে হারাব। ওখানে হারের কোনও প্রশ্নই নেই। আমি লড়াই করলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেন'।
অন্য দিকে, এদিন মাথাভাঙার সভায় নাম না করে আইএসএফকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা এদিন বলেন, 'বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, আরেকটা নতুন মুসলিমদের দল হয়েছে। যেমন হায়দরাবাদের মিম, বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করে নেওয়া ওদের কাজ। যাতে তৃণমূল জিততে না পারে...দয়া করে ওদের চক্রান্তে পা দেবেন না।' এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'ভোটের আগের দিন টাকা দেবে, বলবে ঘর করে দেব। টাকা নিয়ে কথা বলব না। আপনার অধিকার নেবেন কি, নেবেন না।'