মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে 'আপত্তিকর' মন্তব্য করার অভিযোগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। বুধবার কমিশনে এই নিয়ে চিঠি লিখেছে তৃণমূলের মহিলা শাখা। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে তারা।
এই প্রসঙ্গে, রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, 'এই ধরনের শব্দ শুধু অসম্মানজনকই নয়, জঘন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারী যে শব্দ প্রয়োগ করেছেন, তা শুধু ওঁকে অসম্মান করেনি, মহিলাদের অসম্মান করেছে।' শুভেন্দুর বিরুদ্ধে যাতে পদক্ষেপ করা হয়, সেই ব্যাপারে মহিলা কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন চন্দ্রিমা।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। তারপর থেকেই মমতা বনাম শুভেন্দু সংঘাত শুরু হয়। সে বছর বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে মমতাকে হারান শুভেন্দু। এরপর দুই রাজনীতিকের বাগযুদ্ধ আরও বাড়ে। যত সময় এগিয়েছে, মমতা বনাম শুভেন্দু সংঘাতের পারদ ততই বেড়েছে। শুভেন্দুকে নাম না করে 'গদ্দার' বলে সম্বোধন করে বহুবার নিশানা করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলনেত্রীকে। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে 'চোরেদের রানি' বলে বারংবার আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতাকে।
সম্প্রতি, এসএসসি মামলায় রায় নিয়ে মমতাকে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে সভায় শুভেন্দু বলেন, ' ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। চাকরি বিক্রি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর শাগরেদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। চোরেদের রানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। আর কি কোনও প্রমাণের অপেক্ষা রয়েছে? তৃণমূল মানে চোর।' এরপরেই মমতাকে টার্গেট করে শুভেন্দু বলেন, 'উন্মাদের মতো চিৎকার করছেন। বলছেন, এই রায় মানেন না। আপনাকে মানতে হবে না। নন্দীগ্রামে হারিয়েছিলাম। আমি আর ড. মজুমদার, দুই ভাই মিলে আপনাকে প্রাক্তন করে ছাড়ব, দেখতে থাকুন।'