TMC Jonogorjon Sabha Traffic: রবিবার তৃণমূলের জনগর্জন সভা। আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে এদিন তৃণমূলের 'গেমপ্ল্যান' ছকে দিতে পারেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেও নজর থাকবে সকলের। আর সেই কারণেই শনিবার দুপুর থেকেই ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন সবুজ শিবিরের নেতা-কর্মীরা। তবে রবিবার সকাল থেকে তাঁদের ভিড় বাড়তে চলেছে।
ব্রিগেডে যে কোনও রাজনৈতিক দলের সভাকেই শহরতলি ও বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর কর্মী, সমর্থকরা আসেন। আর তাঁদের যাতায়াতের মূল মাধ্যম হয় রেলপথ। সেই কারণে ব্রিগেডে কোনও সভা হলে তার প্রভাব পড়ে হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশনে।
রবিরারের জনগর্জন সভাতেও তার ব্যাতিক্রম হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত হাওড়া ও শিয়ালদা থেকে কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্ন মিছিল ব্রিগেডের উদ্দেশে রওনা দিতে পারে। সেদিকে নজর রেখে আগে থেকেই প্রস্তুত পুলিশ। একদিকে যেমন তৃণমূল সমর্থকদের ভিড় মোকাবিলা করা যায়, অন্যদিকে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাটাও তাঁদের কাছে চ্যালেঞ্জ।
রবিবার ভোর ৪টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কলকাতার একাধিক রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। হাওড়া ও শিয়ালদা থেকে ব্রিগেড-মুখী রাস্তাগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
যে পথে মিছিল, সে পথে পুলিশ
হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশন থেকে কর্মী সমর্থকরা মিছিল করে আসতে পারেন। তাই সেই স্টেন থেকে আসা রাস্তাগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শিয়ালদা স্টেশন থেকে যে মিছিলগুলি আসবে, সেগুলি মৌলালি, এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্মতলা হয়ে ব্রিগেডে পৌঁছবে। অন্যদিকে হাওড়া স্টেশন দিয়ে আসা কর্মীরা প্রথমে হাওড়া ব্রিজ পার হবেন। এরপর ব্রেবোর্ন রোড ধরে ব্রিগেডের দিকে যাবেন তাঁরা।
এর পাশাপাশি হাজরা, শ্যামবাজার, বন্দর এলাকা, সল্টলেক, পার্ক সার্কাস দিয়ে সড়কপথেও তৃণমূল কর্মীরা আসবেন। সেখানেও তাঁদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশি সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ব্রিগেড গ্রাউন্ড, মধ্য কলকাতা সহ মোট ১০টি সেক্টর ভাগ করেছে পুলিশ। এভাবে নির্দিষ্ট এলাকা বেছে নিয়ে সেখানে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। শনিবার রাত ১০টা থেকেই ব্রিগেড চত্বর-সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ পোস্টিং শুরু হয়ে গিয়েছিল।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুর থেকেই কলকাতায় আসতে শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, নেতাজি ইন্ডোর, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে তাঁদের রাখা হয়।