সরকার গড়লে INDIA জোটকে বাইরে থেকে সমর্থন করবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বুধবার বড় ঘোষণা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বস্তুত, বাইরে থেকে সরকারকে সমর্থন করার বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদাহরণ রয়েছে। অতীতেও তৃণমূলনেত্রীকে দেখা গিয়েছে, সরকারে না থেকে বাইরে থেকে সরকারকে সমর্থন করছেন। তবে তা একবারই।
অটল-জমানায় বাইরে থেকে সমর্থন ছিল মমতার
১৯৯৮ সালে কেন্দ্রে ১৩ মাসের সরকার গঠিত হয়েছিল অটলবিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) নেতৃত্বে। সেই সরকারে সরাসরি যোগ দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাইরে থেকেই সরকারকে সমর্থন করেছিলেন। এরপর ১৯৯৯ সালে NDA জোটে যোগ দেন মমতা। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। মমতাকে রেলমন্ত্রক দেয় বাজপেয়ী সরকার। ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তৃণমূল বাজপেয়ী সরকারে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস (মাঝের একটা পর্ব বাদ দিয়ে।
মনমোহন জমানাতেও UPA-তে যোগ দেন মমতা
২০০৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট। প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন সিং (Manmohan Singh)। ২০০৯ সালে ইউপিএ জোটে সামিল হয় তৃণমূল কংগ্রেস। মন্ত্রিসভাতেও যোগ দেন মমতা। তাঁকে দেওয়া হয় রেলমন্ত্রক। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১-তে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও বেশ কিছু দিন তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব ছিল সেই সরকারে।
বুধবার ঠিক কী বলেছেন মমতা?
কেন্দ্রে বিরোধী জোট INDIA-কে বাইরে থেকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দিয়ে, বাইরে থেকে সব রকম সাহায্য করে আমরা সরকার গঠন করে দেব। যাতে বাংলায় আমার মা-বোনেদের কোনও দিন অসুবিধা না-হয়, ১০০ দিনের কাজে কোনও দিন অসুবিধা না-হয়।'
মমতার এই ঘোষণার পরেই বিরোধীরা নানা ভাবে কটাক্ষ করা শুরু করেন। দমদম লোকসভার বামপ্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও জাতীয় দল বিশ্বাস করে না। অন্যদিকে আজ বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, 'এমন ভাবে হারাবো। দেশে ওদের কোনো রোল থাকবে না। এবার তৃণমূল এমন সংখ্যা পাবে, কেউ ওদের ডাকবেই না।' কংগ্রেসের কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুচারু ভাবে বিজেপি-কে সুবিধা করে দিতে চাইছেন।