scorecardresearch
 

Rajeev Kumar: বড় খবর : রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

লোকসভা নির্বাচনের আগে বড়সড় পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরানো হল। অবিলম্বে এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানিয়েছে কমিশন।

Advertisement
রাজীব কুমারকে ডিজিপি পদ থেকে সরানো হল। রাজীব কুমারকে ডিজিপি পদ থেকে সরানো হল।
হাইলাইটস
  • লোকসভা নির্বাচনের আগে বড়সড় পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন।
  •  রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে সরানো হল।
  • অবিলম্বে এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানিয়েছে কমিশন।

লোকসভা নির্বাচনের আগে বড়সড় পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরানো হল। ভোট সংক্রান্ত কোনও কাজে থাকতে পারবেন না রাজীব, সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। অবিলম্বে এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানানো হয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে রাজ্য পুলিশের নতুন ডিজি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয় আইপিএস রাজীব কুমারকে। মনোজ মালব্যের স্থলাভিষিক্ত করা হয় রাজীবকে। এক সময় কলকাতা পুলিশের নগরপাল ছিলেন রাজীব। সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে রাজীবকে তলব করেছিল সিবিআই। যা ঘিরে সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সম্প্রতি সন্দেশখালির ঘটনায় রাজীবের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। গত শনিবার ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়। তার ৪৮ ঘণ্টার মাথায় রাজীবকে ডিজিপি পদ থেকে সরানো হল। 

পরবর্তী ডিজি কে হবেন, তা ঠিক করতে ৩ জনের নাম আজ বিকেল ৫টার মধ্যে কমিশনকে পাঠাতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

রাজীবকে ডিজি পদে দায়িত্ব দেওয়ার দিনই হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রাজীবকে নয়া ডিজিপি পদে দায়িত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে কুণাল বলেছিলেন, 'রাজীব কুমার দক্ষ পুলিশ অফিসার। মাঝখানে কিছু হয়েছিল। আমার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। কালীপুজোর দিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে দেখা হয়েছিল। সৌজন্য বিনিময় হয়েছিল। ডিজি পদে এসেছেন। ভাল খবর। ভাল থাকুন।' এর পরই কুণাল বলেছিলেন, 'আমার মতো কোনও নির্দোষকে কারও নির্দেশে বলি দিতে দেবেন না। কারও না কারও নির্দেশে বলি দিলে, পরের দিন ভগবান ভাল করেন না।' রাজীবের অপসারণ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'রাজীব কুমারকে সরানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।'

আরও পড়ুন

কমিশনের নির্দেশিকা।
কমিশনের নির্দেশিকা।

বরাবরই বিতর্কে নাম জড়িয়েছে রাজীবের। সারদা কেলেঙ্কারিতে অতীতে গ্রেফতার করা হয়েছিল কুণালকে। এই মামলার তদন্তেই কলকাতায় রাজীব কুমারের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। সেই সময় কলকাতার পুলিশ কমিশনার ছিলেন রাজীব। এর প্রতিবাদে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যা ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। পরে রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। কুণাল এবং রাজীবকে মুখোমুখি বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।

Advertisement

রাজীবকে ডিজিপি পদে নিয়োগ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, 'সারদার প্রমাণ লোপাটের পুরস্কার এটা।' শুভেন্দু আরও বলেছিলেন, 'সারদা চিটফান্ড মামলায় সব ডিভাইস নষ্ট করেছেন রাজীব কুমার। সুদীপ্ত সেনের অফিস থেকে যদি ওই বৈদ্যুতিন ফাইলগুলি উদ্ধার করত সিবিআই, তা হলে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে জেলে যেতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদায় সবচেয়ে সুবিধা ভোগ করেছেন মমতা। সকলে জানেন এটা। রাজীব কুমারের জন্যই জেলের বাইরে মমতা। তাই রাজীবের জন্য ধর্নায় বসেছিলেন। এটা রিটার্ন গিফট রাজীবকে...গ্রেফতারি এড়াতে হাই কোর্টে গিয়ে জামিন নিয়েছেন রাজীব। সুপ্রিম কোর্টে তা চ্যালেঞ্জ করেছে সিবিআই। ২ বছর ধরে মামলা ঝুলে রয়েছে। সিবিআই এবং সলিসিটর জেনারেলকে অনুরোধ করছি, সুপ্রিম কোর্টে যেন দ্রুত মামলার শুনানি শুরু হয়।'

Advertisement