scorecardresearch
 

বাংলা মিশনে ব্যর্থ BJP! শুরু কেন্দ্র-রাজ্য নেতৃত্বের 'তু তু ম্যায় ম্যায়'

এক রাজ্য নেতার মতে, ভোট প্রচারে নেমে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অতি বাঙালি হয়ে ওঠার বিষয়টি ভাল ভাবে নেয়নি বাংলার মানুষ। আর তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে ভোটের ফলে। ইতিমধ্যেই দলের রাজ্যে নেতাদের একাংশ বলতে শুরু করেছেন, যদি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসত, তাহলে তার কৃতিত্ব শুধুমাত্র বাংলার বিজেপি কর্মীদের জন্যই। অন্যদিকে, এই ভরাডুবির জন্য তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতাদেরই দায়ী করতে শুরু করেছেন।

Advertisement
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দিলীপ ঘোষ (ফাইল ফোটো) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দিলীপ ঘোষ (ফাইল ফোটো)
হাইলাইটস
  • 'ইস্ বার ২০০ পাড়!'
  • রাজ্যে প্রচারে আসা বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের প্রতিটি নেতার মুখেই ছিল এই দাবি
  • ২০০-র স্বপ্ন তো দূর অস্ত, ১০০ আসন পাওয়াও কঠিন মনে হচ্ছিল বিজেপির কাছে

'সোনার বাংলা' গড়ার স্বপ্ন ভেঙে যেতেই এবার বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে শুরু "তু তু-ম্যায় ম্যায়" লড়াই। ইতিমধ্যেই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করেছে রাজ্য নেতারা। তাঁদের অনেকেরই কথায় দল জিতলে সেই কৃতিত্ব নিয়ে যেতেন দিল্লির নেতারা। তাই এখন এই ভরাডুবির দায়ও নিতে হবে তাঁদেরকেই। 

'ইস্ বার ২০০ পাড়!' রাজ্যে প্রচারে আসা বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের প্রতিটি নেতার মুখেই ছিল এই দাবি। সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই হোক বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এমনকী যোগী আদিত্যনাথও এই দাবি নিয়ে প্রচারে নামেন বাংলার জেলায় জেলায়। একটা সময় যেভাবে রাজনৈতিক ঝড় উঠেছিল, তাতে তাবড় রাজনীতির বিশ্লেষকরা মনে করতে শুরু করেছিলেন যে এবারের ভোটে কিছুটা হলেও গেরুয়া ঝড়ের চাপে পড়ে বিপাকে পড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু রবিবার ভোট গণনা শুরু হতেই পাল্টে যেতে থাকে ছবিটা। ২০০-র স্বপ্ন তো দূর অস্ত, ১০০ আসন পাওয়াও কঠিন মনে হচ্ছিল বিজেপির কাছে। যদিও, বেলা বাড়তেই সেই প্রবণতা আরও জাঁকিয়ে বসে গেরুয়া শিবিরে। সংখ্যা নামতে নামতে একটা সময় আটের ঘরের নিচে নেমে যেতেই, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর সিদ্ধান্তের দিকেই আঙুল তুলতে থাকেন রাজ্যের নেতারা। 

এক রাজ্য নেতার মতে, ভোট প্রচারে নেমে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অতি বাঙালি হয়ে ওঠার বিষয়টি ভাল ভাবে নেয়নি বাংলার মানুষ। আর তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে ভোটের ফলে। ইতিমধ্যেই দলের রাজ্যে নেতাদের একাংশ বলতে শুরু করেছেন, যদি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসত, তাহলে তার কৃতিত্ব শুধুমাত্র বাংলার বিজেপি কর্মীদের জন্যই। অন্যদিকে, এই ভরাডুবির জন্য তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতাদেরই দায়ী করতে শুরু করেছেন।

সম্প্রতি, একটি সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও রাজ্যে ভোট প্রচারে আসা কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। একই সুর শোনা যায় রাজ্যের আরও কয়েকজন হেভিওয়েট নেতার মুখেও। তাঁদের একাংশের মতে, দলিত পরিবারে খেয়ে বা কৃষকদের নিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে দিয়ে আদতে সংগঠনের কাজেই মন দেওয়া হয়নি। যার ফল এবারের ভোটে পড়ল। 

Advertisement

প্রশ্ন উঠেছে দলের নবাগতদের ভূমিকা নিয়েও। রাজ্য বিজেপির বহু পুরানো নেতার মতে, নবাগতদের শুরুতেই এতটা গুরুত্ব বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে, পুরানো কর্মী সমর্থকদের একাংশের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সেই ফলও, এবারের নির্বাচনের ভুগতে হল বিজেপিকে।

Advertisement