Loksabha Election 2024: হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে ওল্ড মালদা পর্যন্ত ৪শোর বেশি বুথকে অতিস্পর্শকাতর ঘোষণার দাবি জানিয়ে শুক্রবার দুপুরে জেলা শাসকের দ্বারস্থ হল বাম-কংগ্রেস নেতারা। জেলাশাসকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়ার সঙ্গে তাঁরা দাবিপত্র পাঠান রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছেও। এদিনের স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে মোস্তাক আলম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ, জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অম্বর মিত্র, সিপিএম নেতা বিশ্বনাথ ঘোষ, জামিল ফিরদৌস প্রমুখ।
পুলিশকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চায়েতের মতো ভোট লুট করতে চাইছে তৃণমূল। এমনই আশঙ্কা করছেন উত্তর মালদার বাম-কংগ্রেস জোট নেতারা। জেলাশাসকের কাছে দাবি নিয়ে হাজির হওয়ার আগে বাম-কংগ্রেস নেতারা এদিন মালদায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী কংগ্রেস নেতা মোস্তাক আলম অভিযোগ করেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদা জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় তৃণমূল ভোট লুট করেছিল। মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারেনি। তাঁর দাবি, "আমাদের আশঙ্কা, এবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করবে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই বাম-কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের পুলিশ থানায় ডেকে পাঠিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। তাঁদের ছবি তুলে রাখছে। হরিশ্চন্দ্রপুরে একটি খুনের মামলায় আমার ইলেকশন এজেন্ট মাসুদ আলমকে তলব করেছে পুলিশ। অথচ মাসুদ রতুয়া-২ ব্লকের বাসিন্দা।" তিনি বলেন, তাঁরা আশঙ্কা করছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে আটকে গ্রামে গ্রামে বাম-কংগ্রেসের ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে যাওয়া থেকে আটকাতে পারে তৃণমূল আর পুলিশ।
উত্তর মালদায় চার শতাধিক বুথকে তাঁরা নিজেরাই সাংগঠনিকভাবে অতিস্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। ভোট গ্রহণ কেন্দ্র ও গ্রামগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছি। গোটা বিষয়টি লিখিত আকারে জেলা শাসকের হাতে তুলে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানান।
পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকেই ভোট দেওয়ার জন্য বাড়ি ফেরেননি। সেই জায়গায় ভুয়ো ভোট হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা। ভোটার সচিত্র পরিচয়পত্র যাতে ভালোভাবে দেখে ভোট দিতে দেওয়া হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে বলে তাঁরা দাবি করেন।