scorecardresearch
 

Loksabha Election Malda: বুথে ঢুকে দেখলেন ভোট হয়ে গিয়েছে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে বুথের বাইরে 'চাকরি চোর' স্লোগান

মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ এবং দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুরে বড় ধরণের গোলমাল না হলেও একাধিক জায়গা থেকে অনিয়মের অভিযোগ আসছে। কোথাও  মারধর, কোথাও ভোট দিতে বাধার অভিযোগ প্রার্থীকে সামনে এসেছে। এর মধ্যেও নজর কেড়ে নিয়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) এলাকা।

Advertisement
বুথে ঢুকে দেখলেন ভোট হয়ে গিয়েছে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে বুথের বাইরে 'চাকরি চোর' স্লোগান বুথে ঢুকে দেখলেন ভোট হয়ে গিয়েছে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে বুথের বাইরে 'চাকরি চোর' স্লোগান

Lok Sabha Election 2024 Malda Harsichandrapur: আজ তৃতীয় দফার ভোটে এ রাজ্যের দুই জেলার চার আসনে নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)রয়েছে। মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ এবং দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুরে বড় ধরণের গোলমাল না হলেও একাধিক জায়গা থেকে অনিয়মের অভিযোগ আসছে। কোথাও  মারধর, কোথাও ভোট দিতে বাধার অভিযোগ প্রার্থীকে সামনে এসেছে। এর মধ্যেও নজর কেড়ে নিয়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) এলাকা। সেখানে বুথে এসেও ভোট দিতে পারেননি এক যুবক বলে অভিযোগ তোলায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে চাকরি চোরদের আর ভোট নয়। দাবি তুলে ভোটের দিন শ্লোগান তুলতে দেখা যায় (Malda)-র হরিশ্চন্দ্রপুরের মশালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বুথে। ভোট চলাকালীনই বুথের বাইরে পতাকা শ্লোগান দিতে দেখা গেল স্থানীয় কংগ্রেস এবং সিপিএম সমর্থকদের। তাতে উত্তেজনা ছড়ায়।

এদিন হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধানসভার সুলতাননগর অঞ্চলের খন্তা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। মঙ্গলবার সেখানে ভোট দিতে আসেন ওই এলাকারই বাসিন্দা ভবিসান চৌধুরী। মহিলা পরিচালিত এই বুথে ভোট দিতে ঢুকেই তিনি নাম মেলাতে গিয়ে দেখেন, তাঁর নামে ভোট পড়ে গিয়েছে। ভবিসানের বক্তব্য, তিনি ভোট দেননি। হাতে কালিও নেই। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু হয়। পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিষয়টি হরিশ্চন্দ্রপুর ২ এর বিডিও (BDO) তাপস পালকে জানানো হয়। তিনি জানান, অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই ভোটার যাতে ভোট দিতে পারেন সেজন্য চ্যালেঞ্জ ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর ক্ষোভ শান্ত হলেও, এমন আরও হয়েছে বলে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সদস্যরা।

এদিকে একই এলাকার মশালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথে। মঙ্গলবার ভোট চলাকালীন হাতে পতাকা নিয়ে জোটবন্ধ হয়ে এই স্লোগান দিতে দেখা গেল স্থানীয় কংগ্রেস এবং সিপিএম সমর্থকদের। শ্লোগানকারীদের দাবি, আদালতের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। শুধুমাত্র শাসকদলের দুর্নীতির জন্য। এর আগে প্রায় ৫০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিও একইভাবে দুর্নীতির দায়ে ঝুলে রয়েছে। এইভাবে শিক্ষিত প্রজন্মকে শেষ করছে তৃণমূল। তাই এবার তৃণমূলকে যাতে কেউ ভোট না দেন, সেই সচেতনতার জন্য তাঁরা স্লোগান তোলেন। তবে নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রের বাইরে এইভাবে শ্লোগান তোলা যায় কি না, তা নিয়ে জানতে চাইলে অবশ্য় সদুত্তর মেলেনি। সমর্থকরা এবারে উত্তর মালদায় মোস্তাক আলম ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন বলেও দাবি করেন।

Advertisement

 

Advertisement