বাংলায় বিজেপি-র মুখ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়? বহু দিন ধরেই এই জল্পনা চললেও, বিজেপি বা সৌরভ-- কোনও পক্ষই বিষয়টি স্পষ্ট করেনি। বলা ভাল, এড়িয়েই গিয়েছেন। তবে রবিবার সন্ধ্যায় হঠাত্ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই সৌরভ-রাজনীতি যোগ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত আদৌ বিজেপি-তে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে বিস্তর ধোঁয়াশার অবকাশ রয়েছে।
বাংলায় বিজেপি-র মুখ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়? বহু দিন ধরেই এই জল্পনা চললেও, বিজেপি বা সৌরভ-- কোনও পক্ষই বিষয়টি স্পষ্ট করেনি। বলা ভাল, এড়িয়েই গিয়েছেন। তবে রবিবার সন্ধ্যায় হঠাত্ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই সৌরভ-রাজনীতি যোগ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত আদৌ বিজেপি-তে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে বিস্তর ধোঁয়াশার অবকাশ রয়েছে।
আসলে বাংলার রাজনীতিতে এর আগেও একাধিক বার উঠে এসেছে সৌরভের নাম। মাঝেমধ্যেই বঙ্গ রাজনীতিতে ঘোরাঘুরি করত। কিন্তু সৌরভ বরাবরই রাজনীতি থেকে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। সক্রিয় ভাবে তাঁকে কখনওই রাজনৈতিক ময়দানে দেখা যায়নি।
বাম আমলে বাম নেতাদের সঙ্গে সৌরভকে বারবার দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে, শিলিগুড়ির মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সৌরভের ঘনিষ্ঠতা সকলেরই জানা। প্রায় আত্মীয়তার সম্পর্ক। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও সৌরভকে পছন্দ করতেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই শাহরুখ খানকে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করুক, সৌরভের সঙ্গে মমতার সখ্য বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে।
বিশেষ করে সিএবি সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুর পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাতে বৈঠক করেন সৌরভ। এবং তারপরেই মমতা সৌরভকে পাশে নিয়ে ঘোষণা করেন, সিএবি সভাপতির দায়িত্ব নিচ্ছেন মহারাজ। তখনও জল্পনা তুঙ্গে ছিল, তা হলে কি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন দাদা? সেই জল্পনাতেও জল ঢেলে দেন সৌরভ।
তবে একুশের নির্বাচনে সৌরভের রাজনীতিতে আসার জল্পনা বেশ জোরাল। এতটা চর্চা আগে হয়নি। বিশেষ করে দিল্লি যাওয়ার আগের সন্ধ্যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠক চর্চায় অন্য মাত্রা দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথায়, 'বিজেপি জিতলে বাংলার ভূমিপত্রই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। সময় হলেই জানতে পারবেন।'