প্রথমবার বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়া। তারপরই শহরে ফিরে সোজা রাজনৈতিক গুরু প্রাক্তন পুরমন্ত্রী ও শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে পৌঁছলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁকে ফুল ও বই উপহার দিয়ে গুরুদক্ষিণা দিলেন। তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণান করলেন।
তাঁর কাছেই শেখা রাজনীতির অ-আ-ক-খ। তাঁর হাত ধরেই প্রথম নির্বাচন জিতে কাউন্সিলর হওয়া। তারপর কাউন্সিলর থেকে মেয়র পারিষদ হওয়া। মাঝে মতানৈক্য। তার জেরে সিপিএম ছেড়ে বেরিয়ে যান শঙ্কর। বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে গুরু অশোককেই হারিয়ে বিধায়ক হন।
একদা রাজনৈতিক গুরু। পাকে চক্রে রাজনৈতিক পথ আলাদা হলেও পুরনো শ্রদ্ধা অটুট রয়েছে তার প্রমাণ মিলল এদিনের সৌজন্য সাক্ষাতে। জানিয়ে দিলেন, রাজনৈতিক পথ ভিন্ন হতে পারে, মানুষ হিসেবে প্রাপ্তির শুরুটা যে এমন মানুষের হাত ধরেই। তাই উপেক্ষা করা সম্ভব নয়।
তা ছাড়া পাঁচবারের বিধায়ক, চারবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী, একবার শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান, একবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ নেই গোটা রাজ্যেরই। তাই শঙ্কর যে বুদ্ধিমানের মতো তাঁর শরণাপন্ন হবেন, তাতে আর আশ্চর্য কী!
অশোকবাবুর বাড়িতে গিয়ে শনিবার অবশ্য শঙ্কর রাজনৈতিক কোনও আলাপচারিতায় যাননি। অশোকবাবুর শারীরিক খোঁজ খবর নেন তিনি। করোনার টিকা নেওয়া হয়েছে কি না তাও জিজ্ঞাসা করেন।
শঙ্করবাবুও অবশ্য দিনের শেষে একে রাজনীতির বাইরে সৌজন্য সাক্ষাত বলে বর্ণনা করেছেন। ব্যক্তিগত আলাপচারিতা ও একজন বিধায়ক হিসেবে কেউ তার বাড়িতে আসলে স্বাগত জানানোটাই সৌজন্য বলে জানিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্যও। পাশাপাশি রাজনৈতিক বিরোধ যে থাকছেই তা তড়িঘড়ি জানিয়ে দেন অশোকবাবু।