দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ব্যাপক উত্তপ্ত নন্দীগ্রামের বয়াল। নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের একাধিক বুথে তাদের এজেন্টরা বসতে পারছেন না বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। সোনাচূড়া, বয়ালের মতো জায়গাগুলি থেকে আসছিল সবচেয়ে বেশি অভিযোগ।
লাগাতার অভিযোগের জেরে দুপুরের দিকে ময়দানে নামেন খোদ তৃণমূলনেত্রী তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা হাজির হন বয়াল প্রাথমিক স্কুলের বুথে। সেখানে তাঁকে দেখেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
মমতা হাজির হতেই বিজেপি কর্মীরা 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দিতে শুরু করেন। যাকে ঘিরে মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
পরিস্থিতি এমন দিকে যায় যে প্রায় মারমুখী হয়ে ওঠে তৃণমূল - বিজেপি দুপক্ষই। উত্তেজনার জেরে বুথেই আটকে পড়েন মমতা। সেখান থেকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করেন মমতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান অবজারভার। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন তৃণমূল নেত্রী।
মমতার অভিযোগ, "কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই এমন হচ্ছে। দুপুরের মধ্যে ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট হয়ে গিয়েছে।"
এই নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। পুনরায় নির্বাচনেরও দাবি তুলছেন মমতা। প্রায় ২ ঘণ্টা বুথে আটকে থাকার পর কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বের করা হয় মমতাকে।
বুথ থেকে বেরিয়ে মমতা বলেন, "নন্দীগ্রাম নিয়ে আমি চিন্তিত নই, আমি গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত, নন্দীগ্রামে আমিই জিতব।" এরপরেই মমতা অভিযোগ করেন, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপিকে সাহায্য করার নির্দেশ দিচ্ছেন। বিজেপি উস্কানি দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন চুপ। এটা দুর্ভাগ্যজনক। কাল রাত খেকে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। ওরা চাইছে, আমরা যেন হারি। এত খারাপ নির্বাচন আমরা আগে দেখিনি। তবে আমরাই জিতব। বেশিরভাগ জায়গায় আমরাই ভোট পেয়েছি। এত আক্রমণ করেও ওরা কিছুই করতে পারবে না।"