Amit Shah: বাংলায় BJP কত আসনে জিততে পারে? ছাব্বিশের 'ভবিষ্যদ্বাণী' করলেন শাহ

তিন দিনের রাজ্য সফরের শুরুতেই কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে ফের একবার অনুপ্রবেশ ইস্যুকে সামনে আনলেন অমিত শাহ। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গকে কার্যত অনুপ্রবেশকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছে। এর প্রভাব শুধু রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তার উপরও গুরুতর প্রভাব ফেলছে বলে দাবি করেন তিনি।

Advertisement
বাংলায় BJP কত আসনে জিততে পারে? ছাব্বিশের 'ভবিষ্যদ্বাণী' করলেন শাহ
হাইলাইটস
  • তিন দিনের রাজ্য সফরের শুরুতেই কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে ফের একবার অনুপ্রবেশ ইস্যুকে সামনে আনলেন অমিত শাহ।
  • তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গকে কার্যত অনুপ্রবেশকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছে।

তিন দিনের রাজ্য সফরের শুরুতেই কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে ফের একবার অনুপ্রবেশ ইস্যুকে সামনে আনলেন অমিত শাহ। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গকে কার্যত অনুপ্রবেশকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছে। এর প্রভাব শুধু রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তার উপরও গুরুতর প্রভাব ফেলছে বলে দাবি করেন তিনি।

বিজেপিই সরকার গড়বে, আত্মবিশ্বাস শাহের
রাজ্যে বিজেপির ক্রমবর্ধমান ভোট শতাংশের পরিসংখ্যান তুলে ধরে অমিত শাহ বলেন, '২০১৪ সালে আমাদের ভোট ছিল ১৭ শতাংশ, ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৪১ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৮টি আসন, ২০২১ সালে ৩৮ শতাংশ ভোটে ৭৭টি আসন এবং ২০২৪ সালে ৩৯ শতাংশ ভোটে ১২টি আসন। এই ধারাবাহিকতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে, ২০২৬ সালে বিপুল, এমনকি দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলায় বিজেপির সরকার গঠিত হবে।'

অনুপ্রবেশ নিয়ে কড়া অবস্থানের বার্তা
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিকে ইঙ্গিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ রোখার প্রশ্নে কোনও আপস করা হবে না। তাঁর হুঁশিয়ারি, 'শুধু অনুপ্রবেশ বন্ধই নয়, যারা বেআইনিভাবে দেশে ঢুকেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইন মেনে দেশের বাইরে পাঠানো হবে।'

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে অমিত শাহ প্রশ্ন তোলেন, সীমান্তে ফেন্সিংয়ের জন্য জমি দিতে রাজ্য সরকার কেন গড়িমসি করছে। তাঁর অভিযোগ, 'দেশের আর কোনও রাজ্য সীমান্ত সুরক্ষার জন্য জমি দিতে অস্বীকার করে না। পশ্চিমবঙ্গই ব্যতিক্রম। অনুপ্রবেশ হলে রাজ্য পুলিশ কেন তাদের খুঁজে বার করে না? কেন অন্য রাজ্যে এই সমস্যা এত প্রকট নয়?'

শাহের দাবি, রাজ্য সরকারের 'অনুপ্রবেশ-সহনশীল' নীতির ফলেই পশ্চিমবঙ্গে এই সমস্যা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, এর ফলে শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, রাজ্যের জনবিন্যাস ও দেশের নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

সিএএ প্রসঙ্গেও কটাক্ষ
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধিতার কথাও তোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'একদিকে সিএএ কার্যকর করার বিরোধিতা, অন্যদিকে সীমান্ত নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায় বিএসএফের ঘাড়ে চাপানো, এই দ্বিচারিতা রাজ্যবাসীর মধ্যেও উদ্বেগ তৈরি করছে।'

Advertisement

রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনের পর বিধানসভা ভোটের আগে অনুপ্রবেশ ইস্যুকেই আবার বিজেপির প্রধান রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অমিত শাহের এই সাংবাদিক বৈঠক সেই কৌশলেরই স্পষ্ট ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

 

POST A COMMENT
Advertisement