নানুরে (Nanoor) কোনও ধর্ষনের ঘটনা ঘটেনি। যে মহিলা ধর্ষিতা হয়েছেন বলে বিজেপি অভিযোগ করছে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটা জানিয়ে দিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। পাশাপাশি ওই মহিলাও জানিয়ে দেন, তাঁর বাড়িতে ঝামেলা করছিল একদল মানুষ, তাই ভয়ে বাপেরবাড়ি পালিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠীও জানিয়েদেন ধর্ষণের কথা মিথ্যা। এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি।
সোমবার বিজেপির একাধিক নেতা ট্যুইট করে অভিযোগ করেন নানুরে ব্যাপক সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। বিজেপির এক মহিলা কর্মীকে ধর্ষণেরও অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, মহিলার বাবার বাড়ি পাকুরহাঁস এবং শ্বশুরবাড়ি সাওতা গ্রামে। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতেই ঘটেছে ধর্ষেনের ঘটনা। এমনকী একটি ছবিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। যদিও তৃণমূল প্রথম থেকেই দাবি করে এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।
এরপর মঙ্গলবার রাত্রে তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন অনুব্রত মন্ডল। তিনি অভিযোগ করেন, 'বিজেপির আইটি সেল একটা ফেক নিউজ করেছে। তারা দেখাচ্ছে একজন মহিলা উলঙ্গ অবস্থায় পড়ে আছে, আর তাঁর মুখটা গামছা দিয়ে ঢাকা। বলা হচ্ছে সাওতা গ্রামে ধর্ষেনের ঘটনা ঘটেছে। একজন ভদ্র মহিলাকে নিয়ে এই ধরনের মিথ্যা কি ভাবে বলা যায়? উনি গরীব বলে এই সব করা হচ্ছে। বাংলার মানুষ দেখুক বিজেপি কতটা নোংরা।'
এদিকে এই ঘটনায় ওই মহিলা জানান, তিনি বিজেপি করতেন। সাওতা গ্রামে খুব ঝামেলা হচ্ছিল, তাই ভয়ে বাবার বাড়ি পাকুরহাঁসের পার্শ্ববর্তী রানিপুর গ্রামে চলে যান তিনি। তাঁর নামে যা প্রচার হয়েছে তা ঠিক নয়। ধর্ষণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। নানুর থানাতে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান ওই মহিলা।
এদিকে নানুরে দু'জন মহিলার ধর্ষণ হওয়ার খবর সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য বেশকিছু মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরেই, তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক করেন বীরভূম পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী। তিনিও জানান, এই খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো। পুলিশ সুপার বলেন, 'এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। আমরা যেখান থেকে যা অভিযোগ পাচ্ছি তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।'