scorecardresearch
 

'পড়শি রাজ্যে পড়াশোনারত ওদের ছেলেমেয়েদের গায়েব করতে পারি,' বেলাগাম দিলীপ

ফের বিতর্কে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুরে দলীয় সভা থেকে তিনি বলেন, এখানে বিজেপির ওপরে ওরা হামলা করছে, প্রতিবেশী রাজ্যে পড়াশুনা করা ওদের ছেলেমেয়েদের গায়েব করে দিতে পারি আমরা। বিজেপি রাজ্য সভাপতির এমন মন্তব্যের পরেই পাল্টা সরব হয় তৃণমূল। রাস্তার গুন্ডাকে ধরে এনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে বলে তোপ দাগে তৃণমূল।

Advertisement
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সভার ছবি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সভার ছবি
হাইলাইটস
  • ফের বিতর্কে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ
  • তোপ দাগলেন রাজ্যের শাসকদলের উদ্দেশ্যে
  • পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের

ফের বিতর্কে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুরে দলীয় সভা থেকে তিনি বলেন, এখানে বিজেপির ওপরে ওরা হামলা করছে, প্রতিবেশী রাজ্যে পড়াশুনা করা ওদের ছেলেমেয়েদের গায়েব করে দিতে পারি আমরা। বিজেপি রাজ্য সভাপতির এমন মন্তব্যের পরেই পাল্টা সরব হয় তৃণমূল। রাস্তার গুন্ডাকে ধরে এনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে বলে তোপ দাগে তৃণমূল।

কী বললেন দিলীপ ঘোষ

শুক্রবার সকালে থেকে দাঁতনে বেশ কয়েকটি সভা করেন দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকেই তিনি বলেন, "আমি এখানে হরিপুরে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি, কোনও পুলিশকে বুথের কাছে আসতে দেবো না। দিল্লির রাইফেলধারি পুলিশ এখানে আসবে। তারাই বুথ সামলাবে। কারোর চিন্তা করার কোন দরকার নেই। রাস্তাতে কেউ ভয় দেখালে নামটা লিখে রাখবেন। চারদিন পর ফলাফল বের হলে তাকে গ্রামছাড়া করে দেব। ভোটের সময় বিশৃঙ্খলা করতে এলে তাদের পাড়ায় শহীদ বেদী বানিয়ে দেব। বুকের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেব। যারা আসবে তারা মা-বাবাকে বলে আসবে সেদিন শেষ দিন হবে। একটু পাল্টান, না হলে উড়িষ্যা ও ঝাড়খন্ডে জমি কিনে দেব। বাকি জীবন সেখানে থাকতে হবে।"

আরও পড়ুন, নাড্ডার নিরাপত্তায় পুলিশের গাফিলতি? অমিত শাহকে নালিশ দিলীপের

কড়া ভাষায় আক্রমণ দিলীপের

সেইসঙ্গে আক্রমণের সুরে তিনি বলেন,  "পঞ্চায়েত এর লোকজন যে টাকা আত্মসাৎ করে গাড়ি বাড়ি করেছেন, তা আর ভোগ করতে দেবো না। বউ ছেলে মেয়ের মুখ দেখতে দেব না। একথা আগেও বলেছি আজকেও বলছি। যেদিন সুযোগ আসবে করব। যে সমস্ত নেতারা পঞ্চায়েতের টাকা আত্মসাৎ করে গাড়ি-বাড়ি করে ঘুরছেন আমরা চাইলেই তাদের আটকাতে পারি। একটা হাত কেটে রেখে দিতে পারি, আমরা ওই রাস্তায় যাই নি। কিন্তু মনে করবেন না যে আমরা পারিনা। দরকার হলে তার নমুনাও দেখাবো। শুধু ডিসেম্বর মাসটা সময় দিয়েছি, এরমধ্যে সোজা না হলে জানুয়ারি থেকে আমরা সোজা করা শুরু করবো। অনেক নেতা তাদের ছেলেমেয়েদের লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে প্রতিবেশী রাজ্য পড়ায়। সেসব রাজ্যে আমাদের সরকার আছে। আমি যদি একটা ফোন করে তাদের ঠিকানা পাঠিয়ে দিই, কোনও ছেলেমেয়ে বাড়ি ফিরবে না। ওরা এখানে ইটপাটকেল মারছে, আমরাও চাইলে তুড়ি মেরে গায়েব করতে পারি। সরকারটাই দুষ্কৃতি ডাকাত চোরেদের সরকার হয়ে গেছে। পঞ্চায়েত থেকে পার্লামেন্ট সমস্ত নেতাই চোর দুর্নীতিগ্রস্ত।"

পাল্টা তোপ তৃণমূলের

Advertisement

এবিষয়ে বিজেপিকে পাল্টা তোপ দাগে তৃণমূল। দলে জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, "রাস্তার গুন্ডাকে ধরে এনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি করে দিয়েছে একটা রাজনৈতিক দল। এর ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। কখনো বলছেন গুলি করে দেবে, কখনো পুলিশকে হুশিয়ারি দিচ্ছেন, আবার কখনো বলছেন তৃণমূলকে জানুয়ারিতেই শেষ করে দেবে। আমরা বলছি, মহামান্য দীলিপ ঘোষ আপনি আসলে পুরনো দিন থেকে রাজনীতি করেননি। তাই রাস্তার ভাষা ব্যবহার করছেন। আমরা রাস্তার ভাষা ব্যবহার করছি না। ভবিষ্যতের সংগ্রামের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী নির্বাচনে এই জেলার ১৫ টা আসনে আপনাকে হারিয়ে বাংলা ছাড়া করবে মানুষ। তার জন্য আপনি তৈরি থাকুন।"

Advertisement