একই হোটেলে আচমকা দেখা দুই যুযুধান পক্ষের। শোনা যাচ্ছে, সেই দুই পক্ষের বেশ কিছু কথাও হয়। ভোটের আবহে বঙ্গের রাজনৈতিক হাওয়ায় তা নিয়ে জল্পনা ছড়াতে বাধ্য। কিন্তু বিষয়টি সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই দাবি তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। মঙ্গলবার তিনি দলীয় কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে বারুইপুরের একটি হোটেলে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আসেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপি নেতারাও একটি কর্মসূচি থেকে ফিরে সেখানে এসেছিলেন। জানা যাচ্ছে, সেখানে দু পক্ষের মধ্যে কথা হয়। তারপরেই স্বাভাবিক ভাবে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। দলবদলের হাওয়ায় এ নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জনও ছড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন, 'তৃণমূলে কেউ অপমানিত, লাঞ্ছিত হলে সেটা আমি', হঠাৎ কেন এমন ফেসবুক পোস্ট কুণালের?
কী দাবি কুণালের
বিষয়টি স্পষ্ট করতে ফেসবুক পোস্ট করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, "এত জল্পনা, এত ফোন। দু একটি কথা। মঙ্গলবার ক্যানিংয়ে তৃণমূলের পদযাত্রা এবং জনসভা করে ফিরছিলাম। বারুইপুরের কাছাকাছি পথের ধারের একটি রেস্তোরাঁয় সহকর্মীদের নিয়ে দাঁড়াই। টি ব্রেক। শুনলাম একটু আগেই ওখান থেকে গেছেন বিশিষ্ট এক তৃণমূল নেতা। এর কিছুক্ষণ পর অন্য একটি জায়গায় সভা সেরে ফেরার পথে ওই রেস্তোরাঁয় ঢোকেন বিজেপির দুই নেতা। পুরনো পরিচিত। আলাদা দলে থাকলেও এইসব ক্ষেত্রে সৌজন্য ছাড়া নিশ্চয়ই প্রকাশ্য ঝগড়া হতে পারে না। দেখা হয়েছে। সৌজন্যের কথা হয়েছে। এইটুকুই। এর মধ্যে কোনো পরিকল্পিত বৈঠকের গল্প বা রাজনৈতিক তাৎপর্য নেই। তাঁরা বিজেপি। আমি তৃণমূল। কারোর গোপন বৈঠক করার থাকলে, সে নিশ্চয় দলীয় সভা থেকে ফেরার সময় সর্বসমক্ষে প্রকাশ্য রেস্তোরায় সেটা করবে না! ফলে যাঁরা এ নিয়ে প্রবল চিন্তিত, তাঁরা আপাতত ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। বিয়ে বাড়ি গিয়েছিলাম বলে পোস্ট করতে দেরি হল।"
শুরু জল্পনা
বর্তমানে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিদিনই সরব হতে দেখা যায় তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। আচমকা তাঁর মতো একজন নেতাকে বিজেপির হেভিওয়েটদের সঙ্গে একই হোটেলে দেখে স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা ছড়াতে বাধ্য। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও বিজেপির তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট ভাবে আসেনি।