লম্বা দাড়ি ও সঙ্গে কোট,ইদানীং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এমন পোশাকেই দেখা যেত। এবার সেই পোশাকের সূত্র টেনে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেইসঙ্গে তিনি নাম না করে শুভেন্দুকে বলেন, বিজেপির টাকার লোভে অনেকেই দল ছেড়ে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ চন্দ্রিমার
শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের উদ্যোগে শহর বর্ধমানের উৎসব ময়দানে এক জনসভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এদিনের মঞ্চে ছিলেন হুগলি জেলার চন্দননগর পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী অনিন্দিতা দাস কবীর। তিনি এদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন,২০২১ সালের নির্বাচনের সময় সব বহিরাগত এসে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে ,লম্বা দাড়ি ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত কোট পরে ভিতরে দশ লাখ টাকার স্যুট পড়লে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও অরবিন্দ হওয়া যায়না। তাইতো মঞ্চে উঠে কবির গানকে অসম্মান করেন।
আরও পড়ুন, মমতার বিরুদ্ধে 'নারী বিদ্বেষী' ট্যুইট, কৈলাসকে আক্রমণ তৃণমূলের
কটাক্ষ চন্দ্রিমার
রাজ্যের সমস্ত প্রকল্পের নাম করে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের জন্য যা কাজ করেছেন তার ধারে কাছে নেই মোদী সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করার পর কেন্দ্রীয় সরকার আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করেন। আসলে বাংলাকে কপি করেন। শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তিনি বলেন এখন টাকার থলি নিয়ে বিজেপি লোভ দেখাচ্ছে তাতে অনেকেই চলে যাচ্ছে। ওতে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু যায় আসে না।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই কাফি। এখন সোশ্যাল মিডিয়া ও টুইটারে মমতার সরকারকে হেয় করার চেষ্টা চলছে। বাংলার মানুষকে ওসব টুইট বা সোস্যাল মিডিয়া দিয়ে ভুল বোঝানো যাবে না। প্রসঙ্গত কৈলাসের ট্যুইট নিয়ে আজই সরব হয়েছেন তৃণমূলের মহিলা নেত্রীরা।
বিজেপি বনাম তৃণমূল
বোলপুর মিছিল ও জনসভার শেষে একটি দোকানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দোকানের সকলের সঙ্গে কথা বলে নিজের হাতে খুন্তিও ধরেছিলেন তিনি। পরে সেই ছবি পোস্ট করে কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন, দিদিকে যে কাজটি ৫ মাস পরে করতে হবে, তা তিনি এখনও শুরু করেছেন। বিজেপি নেতার এই ট্যুইটের ২দিন পড়ে নড়েচড়ে বসে তৃণমূল। একই সময়ে ট্যুইট করে বিজেপি নারীবিদ্বেষী বলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তৃণমূলের কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শশী পাঁজা ও নুসরত জাহানরা।