নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশে তিনি ছিলেন সবথেকে বড় আকর্ষণ। মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নানা গুঞ্জন চলছে তাঁকে নিয়ে।তিনি কি ভোটে লড়ছেন? কয়েকদিন আগেও এই প্রশ্নই ঝড় তুলছিল চায়ের আড্ডায়। আপাতত সেই জল্পনা মিটেছে। নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না মিঠুন। তবে তাঁর এতবছর পর কলকাতার ভোটার হওয়া নতুন এক সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে। তাহলে কি বিজেপি জিতলে মিঠুনই বসবেন বাংলার মসনদে। লাখ টাকার এই প্রশ্নের জবাব আজতকের 'সিধি বাত' অনুষ্ঠানে দিলেন স্বয়ং মিঠুন চক্রবর্তী। জানিয়ে দিলেন তিনি বিজেপির থেকেও বেড়ি বড় ভক্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
আট দফার ভোটরঙ্গের প্রথম পর্ব, দিনভর ঘটা ১০ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
সাংবাদিক প্রভু চাওলার একের পর এক প্রশ্নের বাউন্সার এদিন বেশ সাবলীল ভাবেই সামলাতে দেখা গেল মিঠুন চক্রবর্তীকে। তাঁর বামপন্থা থেকে তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে আসা নিয়ে মহাগুরু বলেন, তাঁর যা ঠিক মনে হয় তিনি সেটাই বলেন। বাংলায় কখনও সাম্পদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হয়নি, কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে, চারদিকে ভয়ের পিরবেশ। তাই পরিবর্তন দরকার। একমাত্র রাজ্যে বিজেপি আসলেই সেটা হওয়া সম্ভব। সিনেমার হিরো থাকাকালীন তিনি ২৫ বছর শ্রমিক ইউনিয়য়নের নেতা ছিলেন। বারবরই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছেন। আর সেই কারণেই এবার বিজেপির হাত ধরেছেন। যদিও তিনি রাজনীতিতে আসতে চাননি সেকথাও জানিয়েছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিঠুন চক্রবর্তী। তবে গরীবের জন্য কাজ করতেই তিনি এবার রাজনীতির ময়দানে। তৃণমূলের সঙ্গে মিঠুনের দূরত্ব বাড়ার পর তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন এমনটা শোনা গিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন আমি মনুষ্যনীতি করতে এসেছি, রাজনীতি নয়। আর এই প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর কথাও শোনা গিয়েছে মিঠুনের গলায়। বলেছেন বিজেপির থেকেও তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বেশি পছন্দ করেন।
এবারের নির্বাচন তৃণমূল বারবার বহিরাগত প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। আর তাতেই মিঠুনের সুচারু জবাব, তাহলে তো সিস্টার নিবেদিতা বা মাদার টেরিজাও বহিরাগত। এই বাংলায় কেউই বহিরগত নন। 'আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি', জনপ্রিয় এই সংলাপে ব্রিগেড মাতিয়েছিলেন মিঠুন। সিধি বাতে তাই নিয়ে সাংবাদিক প্রভু চাওলা বলিউড তারকার সঙ্গে মস্করাও করেন। তাতে মিঠুন স্পষ্ট জানান, এটি তাঁর জনপ্রিয় ছবির সংলাপ, পাশাপাশি তাঁর বক্তব্যটিকে বিকৃত করা হয়েছে । চলুন দেখে নেওয়া যাক সাক্ষাৎকারে মিঠুন আর কী বললেন।