West Bengal Elections 2026 BJP: ছাব্বিশে BJP-র কী প্ল্যান? এবার আর TMC-র বড় নেতাদের দলে টানা হবে না, তবে...

বিজেপির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ণ, বাংলায় জাতপাতের রাজনীতি ততটা কার্যকর নয়। তাই দল এই নির্বাচনে জাতিগত সমীকরণের উপর অতটা নির্ভর করবে না। ধর্মীয় মেরুকরণের প্রসঙ্গে বিজেপি নেতাদের দাবি, প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি আসনে মুসলিম ভোট নির্ণায়ক ভূমিকা রাখে।

Advertisement
ছাব্বিশে BJP-র কী প্ল্যান? এবার আর TMC-র বড় নেতাদের দলে টানা হবে না, তবে...২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিপ প্ল্যান
হাইলাইটস
  • ছাব্বিশের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি-র প্ল্যান
  • বাংলায় জাতপাতের রাজনীতি ততটা কার্যকর নয়
  • দলের টার্গেট এবার ১৬০ থেকে ১৭০টি আসন জেতা

বিহারে জেতার পরে নতুন অক্সিজেন পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি-ও। বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তাই 'মিশন বাংলা' সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে জোরদার প্রস্তুতিতে নামছে বিজেপি। বিজেপি সূত্রের খবর, দলের নেতৃত্বের মূলত ফোকাস, সাংগঠনিক স্তরে একযোগে কাজ করা। যাতে দলের নীচুতলায় নেতা, কর্মীদের মধ্যে কোনও রকম বিবাদ না তৈরি হয়। 

ছাব্বিশের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি-র প্ল্যান

বিজেপি নেতাদের মতে, ছাব্বিশের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে মহিলা সুরক্ষাই সবচেয়ে বড় ইস্যু হতে পারে। তাই আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতিকেই মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে। বস্তুত, বিহারে লালুপ্রসাদের RJD-কে হারাতে বারবার 'জঙ্গলরাজ' শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছে বিজেপি। বিহারে যে দিন ভোটের রেজাল্ট বেরলো, সেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখেও শোনা গেল, বাংলা থেকে জঙ্গলরাজ উপড়ে ফেলার ডাক। রাজ্যের মানুষের কাছে ২০২৬ সালের নির্বাচনে বিজেপি-র বার্তা হতে চলেছে, 'ভাল ভাবে জীবনযাপন চাইলে বিজেপি-কে ভোট দিন। বাঁচতে চাইলে বিজেপি-কে ভোট দিন।' এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্ব, কাজের খোঁজে রাজ্য ছেড়ে ভিনরাজ্যে চলে যাওয়ার মতো ইস্যুগুলিও তুলে ধরতে চাইছে বিজেপি। 

তৃণমূলের বড় নেতাদের দলে আনার পরিকল্পনা নেই

বিজেপি সূত্রের খবর, এই নির্বাচনে তৃণমূলের বড় নেতাদের দলে নেওয়ার সক্রিয় পরিকল্পনা নেই, কারণ দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালে এতে খুব একটা লাভ হয়নি। তবে বুথ ধরে রাখার জন্য তৃণমূলের কর্মীস্তর বা গ্রাউন্ড-ওয়ার্কারদের দলে টানতে বিজেপি রাজি, যাতে সংগঠনকে নীচু তলায় আরও মজবুত করা যায়।

নীচুতলায় দলের সংগঠন মজবুত ও একতায় ফোকাস

রাজ্যের সব বিজেপি নেতাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন গোষ্ঠীতে বিভক্ত ইউনিটগুলিকে একজোট করা। সব নেতাকেই একসঙ্গে ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তার জন্য গোটা রাজ্যেই পদযাত্রা করবে বঙ্গ বিজেপি। মূলত, তৃণমূলস্তরে সংগঠনকে মজবুত করার কাজ করা হবে। রাজ্যের ৯১ হাজার বুথে প্রায় ৭০ হাজার বুথ সমিতি তৈরি করা হবে। SIR প্রক্রিয়া শেষ হলে ভোটার লিস্ট দেখে বুথ কমিটিগুলির পুনর্গঠন করা হবে। তৃণমূল কংগ্রেসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ উঠছে, বিজেপি তার উপর কড়া নজর রাখছে। দলটি এই বিষয়টিকে ‘বংশবাদ’এর ইস্যুর সঙ্গে জুড়ে জনমানসে তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

Advertisement

বাংলায় জাতপাতের রাজনীতি ততটা কার্যকর নয়

বিজেপির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ণ, বাংলায় জাতপাতের রাজনীতি ততটা কার্যকর নয়। তাই দল এই নির্বাচনে জাতিগত সমীকরণের উপর অতটা নির্ভর করবে না। ধর্মীয় মেরুকরণের প্রসঙ্গে বিজেপি নেতাদের দাবি, প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি আসনে মুসলিম ভোট নির্ণায়ক ভূমিকা রাখে। সেই কেন্দ্রগুলিতে আগেই হিন্দু ভোটের পাল্টা মেরুকরণ দেখা যায়। তাই অতিরিক্তভাবে হিন্দুত্বের ইস্যু বাড়িয়ে তোলার প্রয়োজন নেই। কারণ দল হিসেবে বিজেপির পরিচিতিই হিন্দুত্বভিত্তিক।

দলের টার্গেট এবার ১৬০ থেকে ১৭০টি আসন জেতা

বিজেপির হিসেব অনুযায়ী, গত কয়েকটি নির্বাচনে তারা কোনও না কোনওভাবে মোট ১২১টি আসন জিতেছে। সেই আসনগুলিকেই এবার শক্তিশালী ভিত্তি ধরে বিজেপি সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। পাশাপাশি আরও ৪০ থেকে ৫০টি অতিরিক্ত আসনেও বিশেষ নজর থাকবে। দলের টার্গেট এবার ১৬০ থেকে ১৭০টি আসন জেতা। তাই প্রার্থী বাছাইয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।

POST A COMMENT
Advertisement