
ভোট ঘোষণা হতেই হিংসার ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নিমতা (Nimta)-য়। উত্তর দমদম পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের নিমতার পাটনা স্কুল রোডের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী গোপাল মজুমদারের বাড়িতে ঢুকে মারধরের অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ কয়েক জন দুষ্কৃতী দরজা ভেঙে গোপালের বাড়িতে ঢোকে। তাঁকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করে। এমনকি তার ৮০ বছরের বৃদ্ধা মাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
বিজেপির দাবি, এর আগেও এই ওয়ার্ডের একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনার পর এই রাতে গোপালের বাড়িতে ছুটে আসে বিজেপি কর্মীরা। খবর দেওয়া হয় নিমতা থানায়।
এরপর নিমতা থানা পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তেজনা প্রশমনে রাতেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর দাবি, "গতকাল রাত দেড়টা নাগাদ কয়েকজন ছেলে লাঠি দিয়ে আমার ঘরের দরজা ভেঙে বাড়িতে এসে আমাকে গালাগালি দিয়ে বলে বিজেপি করিস। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করি বিজেপি করে আমার কী অপরাধ?
তাঁর আরও দাবি, এরপরই হঠাৎ করে আমাকে মারা শুরু করল। রিভলবারের বাট দিয়ে আমার মাথার পিছনে আঘাত করে। এরপর আমি মাটিতে পড়ে যাই। আমার বুকে, পেটে ব্যাথা লাগছিল। যারা হামলা চালিয়েছিল তাদের আমি চিনি না। তবে তারা অবশ্যই তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানায়, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ধরনের ঘটনা সারা উত্তর দমদমের কোথাও হয়নি। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পর আমাদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি নির্মল কুন্ডু কে খুন করা হয়।
তাঁদের আরও দাবি, বাইরে থেকে লোক এনে বিজেপি এই ওয়ার্ডটা কে দখল করার চেষ্টা করছে। কালকের ঘটনা পুরনো বিজেপি এবং নতুন বিজেপির মধ্যে লড়াই। আসলে আচারের আলোয় আসার জন্য বিজেপি তৃণমূলের উপর দোষ দিচ্ছে বলেও জানান। এদিকে, এই ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।