কয়েকদিন আগে বাঁকুড়ার জনসভায় তৃণমূলনেত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তঁকে জেলে যেতে হতে পারে। বিজেপি ষড়যন্ত্র করে তাঁকে নির্বাচনের আগে জেলে পাঠাতে পারে। চ্যালেঞ্জ করেছিলেন জেলে গিয়েও ২০২১-এর নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলকে জেতাবেন। এবার দলের নেতার বাড়িতে সিবিআই হানা দিতেই রাজনৈতিক প্রতিশোধের তত্ত্ব দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করলেন, যারাই তৃণমূলে আছে তাঁদেরকেই সিবিআই দিয়ে ভয় দেখাবে বিজেপি।
দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে গরু ও কয়লা পাচারের অভিযোগ তুলে আসছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বছরের শেষদিন সকালে কলকাতার একাধিক জায়গায় হানা দেয় সিবিআই আধিকারিকরা। গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে এদিন যুব তৃণমূলের এক নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। যিনি আবার পদবলে যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। আর এই পরিচয় সামনে আসতেই ময়দানে নেমে পড়ে গেরুয়া শিবির। জানা যায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বিনয় মিশ্র সরকারের থেকে এক্স ক্যাটাগরির নিরাপত্তাও পান। এই পরিচয় সামনে আসতেই গেরুয়া শিবিরের নেতারা একের পর এক নিশানা করেন 'ভাইপো'কে। কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে শুভেন্দু সকলেই খোঁচা দিয়ে ট্যুইট করেন। তৃণমূলকে আক্রমণ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূলের অনেক নেতাই বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। গরুপাচার থেকে কয়লা পাচার, সবেতেই যুক্ত তৃণমূল।’ তারই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই সিবিআই লেলিয়েছে গেরুয়া শিবির।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ডিসেম্বরের পর থেকে সিবিআই দিয়ে সবাইকে তোলাব প্রকাশ্যে এমন কথা বলতে শোনা গিয়েছিল পদ্ম শিবিরের নেতাদের। সেই পথেই এগোচ্ছে বিজেপি। তৃণমূল সাংসদের আশঙ্কা, একদিন তাঁকেও সিবিআই তুলে নিয়ে যাবে। এই প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, "যাঁরা যাঁরা তৃণমূলে আছে সবাইকে সিবিআই দিয়ে তুলিয়ে নিচ্ছে। মিডিয়ার লোকও যদি তৃণমূলে থাকে তাকেও তুলিয়ে নেবে, এতে চিন্তা করার কিছু নেই। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। রাজনৈতিক প্রতিশোধের উপরেই এসব চলবে।" কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কৃষি বিল আইন বাতিলের দাবিতে এদিন হাওড়ার বালি সাঁপুইপাড়া বসুকাটি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভার অংশ নিয়েছিলেন কল্যাণ। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমন মন্তব্য করতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদকে।