scorecardresearch
 

TMC-র বঙ্গধ্বনি যাত্রায় বিশৃঙ্খলা, দলবিরোধী স্লোগান, উত্তাল বর্ধমানের কার্জনগেট

দলের কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠল। কর্মীরা দেখালেন বিক্ষোভ। দলের এক নেতার বিরুদ্ধে উঠল স্লোগান। মঙ্গলবার তৃণমূল (TMC)-এর বঙ্গধ্বনি (Bango Dhwani) যাত্রার শেষে, বর্ধমান (Bardhaman)-এ। এই ঘটনায় উত্তাল হল কার্জনগেট (Curzon Gate) চত্বর।

Advertisement
তৃণমূলের বঙ্গধ্বনি যাত্রার শেষে উত্তেজনা বর্ধমানে। দলের কর্মীদের শান্ত থাকার আর্জি নেতাদের। মঙ্গলবার বর্ধমানে। ছবি: সুজাতা মেহরা তৃণমূলের বঙ্গধ্বনি যাত্রার শেষে উত্তেজনা বর্ধমানে। দলের কর্মীদের শান্ত থাকার আর্জি নেতাদের। মঙ্গলবার বর্ধমানে। ছবি: সুজাতা মেহরা
হাইলাইটস
  • দলের কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠল
  • কর্মীরা দেখালেন বিক্ষোভ
  • তৃণমূলের বঙ্গধ্বনি যাত্রার শেষে, বর্ধমানে

দলের কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠল। কর্মীরা দেখালেন বিক্ষোভ। দলের এক নেতার বিরুদ্ধে উঠল স্লোগান। মঙ্গলবার তৃণমূল (TMC)-এর বঙ্গধ্বনি (Bango Dhwani) যাত্রার শেষে, বর্ধমান (Bardhaman)-এ। এই ঘটনায় উত্তাল হল কার্জনগেট (Curzon Gate) চত্বর।

এদিন চরম বিশৃঙ্খলা বঙ্গধ্বনি সভাকে ঘিরে। তৃণমূলের একাংশের কর্মী সমর্থকরা মাইকেই স্লোগান তুললেন, "খোকন দাস দূর হঠো।" খোকন দাস টিএমসি-এর পূর্ব বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক।  এদিনের মঞ্চে খোকন দাসকে টিএমসি জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপ্নন দেবনাথ, দলের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু, যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব দের সাথে চেয়ার দখল করে বসে থাকতে দেখেই ক্ষেপে ওঠে কয়েকশো বিক্ষুব্ধ কর্মী।
 
মঞ্চে টিএমসি (TMC) সংখ্যালঘু সেলের জেলা নেতা সৈয়দ মহম্মদ সেলিম স্লোগান দেন, "আমরা সবাই দিদির লোক দাদার লোক নই।" এরপরই মঞ্চের নীচে থেকে কর্মীদের একাংশ দাবি করে মঞ্চে দাদার লোক  বিজেপির দালালকে নীচে নামাও। খোকন দাস দূর হঠো স্লোগান তুলে চরম বিক্ষোভ শুরু হয়।

মঞ্চ থেকে বার বার ঘোষণা করা হয়, সভা শেষে বাড়ি যান। কিন্তু বিক্ষোভে সামিল কর্মীরা সেদিকে কর্ণপাত করেননি। কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পরে কার্জনগেট (Curzon Gate) সিগন্যাল সংলগ্ন জিটি রোড। বিক্ষুব্ধ কর্মীদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয় নেতৃত্বদের। 

খোকন দাস জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। কয়েকদিন ধরেই তিনি মঞ্চ থেকে বেশ কিছু তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা আইনুল হকের বিরুদ্ধেও।

আইনুল হক কয়েক মাস আগেই বিজেপি থেকে তৃণমূল (TMC)-এ  যোগদান করেন। মূলত আইনুল হক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রাসবিহারী হালদারের সাথে বিভিন্ন মিটিং-মিছিল করতে দেখা গিয়েছে। সেখানে দেখা যায়নি খোকন দাসকে।

Advertisement

এমনকী খোকন দাস দলের যে সব মিছিল সংগঠিত করেন, সেখানে অনুপস্থিত থাকেন রাসবিহারী ও আইনুল হক। স্বভাবতই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যেই দৃশ্যমান। বর্ধমান শহর জুড়ে তৃণমূলের খোকন অনুগামী ও রাসবিহারী অনুগামীদের মধ্যে ক্লাব ও এলাকা দখল নিয়ে বেশ কয়েকবার ঝামেলায় হয়েছে।

কদিন আগে  গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ঠেকাতে জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ কে আইএনটিটিইউসি র মঞ্চ থেকে প্রকাশ্যেই বলতে শোনা যায় দলের নির্ধারিত কর্মসূচি নেতা ভিত্তিক এক এক নেতার আলাদা  করে করা যাবে না। করতে হবে সব একসাথে। সেই মতোই আজ জেলার বঙ্গধ্বনি যাত্রা সমাপ্তি মিছিল হয় শহর বর্ধমানের  উল্লাস থেকে কার্জনগেট অবধি। তারপর মিছিল শেষে হয় সভা। 

এদিন দেখা গেল বঙ্গধ্বনি যাত্রায় খোকন দাস এবং আইনুল হককে একই মিছিলে হাঁটতে। মঞ্চেও ছিলেন তারা। এরপরই একাংশ তৃনমুল কর্মীরা খোকন দাসের বিরুদ্ধে  বিজেপির দালাল বলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।

বিক্ষোভ এমন পর্যায়ে পৌঁছায়  দ্রুত সভা শেষ করে মঞ্চ ছাড়েন মন্ত্রী তথা জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ। খোকন দাস জানান এই বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না। যা বলার সভাপতি বলবেন।

স্বপন দেবনাথ জানান, জেলা  তৃণমূল কংগ্রেস ও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে  বঙ্গধ্বনির শেষদিন উপলক্ষ্যে উল্লাস থেকে কার্জনগেট পর্যন্ত একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলে প্রচুর জনসমাগম হয়েছিলো।কোথায় কি বিশৃঙ্খলা হয়েছে আমার জানা নেই।

দলের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, যারা বেইমান, চোরদেরসাথে মিলে আছে, বিজেপির সঙ্গে মিলে আছে তাদের টিএমসি যে কোনো জায়গা নেই। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রাসবিহারি
হালদার জানান , তিনি বিশৃঙ্খলা হয় নি। সবাই একটাই স্লোগান দিচ্ছিল ' আওয়াজ উঠেছে বঙ্গে আমরা দিদির সঙ্গে।' 

এছাড়া অন্য কোনো স্লোগান ছিল না। কোনও বিক্ষোভ তিনি দেখেন  নি। খোকন দাস দূর হটো বলে  কোনও স্লোগান শোনেননি । প্রেস মিডিয়ার হয়তো শুনতে পেয়েছে।

তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের নেতা সৈয়দ মহম্মদ সেলিম জানান, মঞ্চে এমন একজন ছিলেন যিনি কয়েকদিন আগে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে গিয়েছিলেন, হয়তো কর্মীরা তাকে দেখে ক্ষোভ দেখিয়েছে।

Advertisement