সভামঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়মমতা বলেন, রাজ্যে বর্গি আসছে। বর্গি হানার হাত থেকে বাংলা বাঁচান। ২১ সালে আমারা জিতবই
মমতা বলেন, প্রতিদিন মিথ্যাবানী। মনে হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চলে এসেছে। বহিরাগত পাড়ায় দেখলেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করবেন। পুলিশ অভিযোগ না নিলে আমাদের জানাবেন।
মমতা বলেন, যারা গান্ধীজিকে খুন করল তারা আজকে ওদের নেতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে যারা অপমান করল, তারা আজ ওদের নেতা বিশ্বভারতীর উপাচার্য আর কাউকে খুঁজে পায়নি। বেছে বেছে ওদের নিয়ে আসল।
মমতা বলেন, গ্রাম ও শহরের বাসিন্দারা সাবধান হন। দেখবেন ১০ জনের মধ্যে ২ জন বহিরাগত। তারা আপনাকে এসে ওদের কথা বোঝাবে। সাবধান হোন। কৃষকদের জন্য কেন কালা বিল এনেছেন। ওরা ১ মাস ধরে বসে রয়েছে। টাকা দিয়ে কয়েকটা বিধায়ক কিনলেই তৃণমূলকে কেনা যায় না। তৃণমূল বটবৃক্ষ। ভাঙা সহজ নয়। এদের দলীয় পাতাকা বহন করে এজেন্সির লোকেরা।
মমতা বলেন. ভোট আসলেই ওরা টাকা ছড়াতে শুরু করবে। প্রতি সপ্তাহে ওদের চাই ফাইভস্টার হোটেলের খাবার, অথচ দেখাচ্ছে আদিবাসী বাড়ির খাবার। বলছে পরিবর্তন করবে, আমি বলছি একটু টাচ করে দেখো। বাংলার সংস্কৃতিকে ভাঙার জন্য অনেক চক্রান্ত চলছে
মমতা বলেন, সারা বাংলায় এক ভিন্ন রাজনীতি আমদানি করা হয়েছে। ভিন্ন, বিদ্বেষমূলক রাজনীতি আমদানি করা হয়েছে। হিন্দু ধর্ম তারা জানেন না। রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, মা সারদাকে তারা জানেন না। আমার তপশিলি-আদিবাসীদের অপমান করার ক্ষমতা তোমাদের নেই।
মমতা বলেন, ধান্দাবাজ লোকেদের বিরুদ্ধ প্রাচীর গড়ে দাও। এই মাটি সোনার বাংলা উপহার দিয়েছে। নতুন করে কারোর সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখার দরকার নেই। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর এটা সৃষ্টি করে গেছেন। বিজেপির দিল্লি নেতারা, যারা বহিরাহত তারা জানেন না রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে।
পদযাত্রা শেষ করে সভামঞ্চে মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন বাউল শিল্পী ও লোক শিল্পীরাও।
শুরু মমতার পদযাত্রা
বোলপুরে পদযাত্রা শুরু হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চারিদিকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড়।
বোলপুর লজ মোড় থেকে জামবুনি পর্যন্ত এই রোড শো হবে। মিছিলে থাকছে দুটি ট্যাবলো। ইতিমধ্যেই গোটা রাস্তায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড়।
গতকাল বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে তিনি সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেন। একই সঙ্গে দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির পরে পাড়ায় পাড়ায় সমাধান কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন তিনি।
বোলপুর সফরে যে বাউলের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সেরেছিলেন অমিত শাহ, সেই বাউলকেও এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শোতে দেখা যেতে পারে।
গত সপ্তাহেই বোলপুরে বিরাট রোড শো করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তখনই হুঙ্কার দিয়েছিলেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি জানিয়েছিলেন, ওই রোড শো-র থেকেও দ্বিগুণ পরিমাণ রোড শো করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকের এই রোড শোতে রবীন্দ্র সংস্কৃতি তুলে ধরার ভাবনা শাসকদল তৃণমূলের। থাকতে পারেন বাউল শিল্পীরা।