বেহাত হয়ে যাওয়া পার্টি অফিস রবিবার ফের নিজেদের দখলে নিল সিপিআইএম। রবিবার, নদিয়ার চাকদায়। ছবি: বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়অভিযোগ, তৃণমূল (TMC) বেশ কয়েক বছর আগে দখল করে নিয়েছিলে সিপিআইএম (CPIM)-এর এক পার্টি অফিস। তা 'পুনরুদ্ধার' করা হল। সিপিআইএম নদিয়া (Nadia)-র চাকদা (Chakdaha)-য় বেহাত হয়ে যাওয়া পার্টি অফিস (Party Office) রবিবার ফের নিজেদের দখলে নিল।
সিপিআইএম ও স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকা সিপিআইএমের দলীয় কার্যালয় নিজেদের দখলে রাখল বামেরা। ঘটনাটি নদিয়ার চাকদা (Chakdaha) পুরসভা এলাকার দু নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়ায়।
ওই পার্টি অফিস এই প্রথম হাতবদল হয়নি। এর আগে একাধিক বার তা দখল করা হয়েছিল। সিপিআইএম-এর পার্টি অফিস কখনও তৃণমূল, আবার কখনও বিজেপি দখল করে নিয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে আপাতত সেটি সিপিআইএম-এর কাছেই গেল।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের সময় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সিপিআইএম (CPIM)-এর দলীয় কার্যালয়টি দখল করে নেয়। এমনই অভিযোগ স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্বের। বছর কয়েক পর সেটির ফের দখল হয়। এবার বিজেপি। র ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভের পর ওই কার্যালয়টি তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। যদিও ৮ মাস পর বিজেপির কাছ থেকে পুনরায় কার্যালয়টি তৃণমূলের দখলে চলে আসে। দেখা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে তিনবার সেটি দখল হয়েছে।
এরপর রবিবার অর্থাৎ ২০ ডিসেম্বর রবিবার সিপিএমের পক্ষ থেকে ওই কার্যালয়টি তাদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। দখল নেওয়ার পর ওই সবুজ রঙের দলীয় কার্যালয়টি লাল রং করে দেওযা হয়েছে সিপিআইএম (CPIM)-এর পক্ষ থেকে। তিন-তিনবার একই দলীয় কার্যালয় হাতবদল ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
অভিযোগ, ২০১১ সালে তৃণমূল শাসনক্ষমতার দায়িত্বে এসে সিপিআইএম-সব বামফ্রন্টের অন্য শরিকদলের অনেক পার্টি অফিস দখল করে নিয়েছে। কলকাতা তো বটেই রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে এমন অভিযোগ উঠেছে। সেগুলি দখল করে নিয়ে তার রঙ বদলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে থাকা পত্রপত্রিকা, কাগজপত্র ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। একই জিনিস দেখ গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর। পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি জায়গায় তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। কয়েকটি পার্টি অফিস দখলও হয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছিল।