scorecardresearch
 

দিনহাটা থেকে শান্তিপুর, বিজেপির গড় রক্ষা হবে ! শঙ্কায় খোদ গেরুয়াবাহিনীই

রাত পোহালেই বিধানসভা উপনির্বাচন। তার মধ্যে দুটি বিজেপির জেতা আসনে ভোট রয়েছে। তবে পরিস্থিতি ভিন্ন। ফের কি গেরুয়া ঝান্ডা উড়বে ?

Advertisement
হাসিমুখ কি থাকবে ? হাসিমুখ কি থাকবে ?
হাইলাইটস
  • নিশীথ ও জগন্নাথের উপরই চাপ
  • জয় ধরে রাখা কঠিন বিজেপির পক্ষে
  • শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট দেবে কে ?

রাত পোহালেই রাজ্যে চার বিধানসভায় উপনির্বাচন।  তার মধ্যে দুটি বিধানসভায় বিজেপি জিতেছিল। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের দিনহাটায় এবং দক্ষিণবঙ্গের নদীয়ার শান্তিপুর আসনে। এবার দুটি আসন ধরে রাখার লড়াই বিজেপির কাছে। যদিও কাজটি অত্য়ন্ত কঠিন জানেন বিজেপি নেতারাও। মুখে ফের জিতব বললেও আসলে কাজটা আগের বারের চেয়েও কঠিন। কারণ তখন শাসক দল বলে কিছু ছিল না। এখন শাসন ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। তাই শাসকদলের বিরুদ্ধে গিয়ে জেতানো অত্যন্ত কঠিন কাজ।

আসন ধরে রাখা কঠিন বিজেপির

দিনহাটা কেন্দ্রে বিজেপির বর্তমান মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক মাত্র ৫৯ ভোটে জিতেছিলেন। ফলে এবার ওই আসন ধরে রাখতে পারবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। বরং বড় ব্যবধানে জিতেছিলেন জগন্নাথ সরকার। পরে তাদের মন্ত্রী করার নির্দেশ দিলে নিশীথ ও জগন্নাথ বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। 

শাসকদলকে হারানো কঠিনতম কাজ

২ দলের নেতারা যাই বলুক, এটা ঐতিহাসিক ভাবে সত্য যে, উপনির্বাচনে এগিয়ে থেকে লড়াই শুরু করে শাসকদল। আর দিনহাটায় নিশীথের থেকে মাত্র ৫৯ ভোট কম পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। এবং এটাও ঠিক যে এই আসন উদয়নের ঘরের মাঠ। টানা ৬ বার এখানে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী হিসেবে জয় পান উদয়নের বাবা কমল গুহ। ২০১১ সালে উদয়নও ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে জিতে পরে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৬ সালেও জিতেছিলেন।

দিনহাটার চেয়ে ভাল জায়গায় শান্তিপুর

তবে নিশীথের তুলনায় শান্তিপুরে অনেক বেশি ব্যাবধানে জয় পেয়েছেন জগন্নাথ। তাঁর ব্যবধান ছিল ১৫ হাজার ৮৭৮ ভোট। তবে এই আসনেও অতীতে বড় জয়ের রেকর্ড রয়েছে তৃণমূলের। দীর্ঘ দিন কংগ্রেসের বিধায়ক থাকা অজয় দে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে উপনির্বাচনে জোড়াফুল প্রতীকে জয় পান। ২০১৬ সালেও তৃণমূলের অরিন্দম ভট্টাচার্য জয় পান। তবে সেই সময়ে বিজেপি-র ভোট ছিল ৩.৭ শতাংশ।

Advertisement

বিজেপির ভোট কমেছে

সেখান থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র ভোট প্রাপ্তি বেড়ে ৫৩.৭৪ শতাংশ হয়ে যায়। সেটা এ বার কমে হয় ৪৯.৯৪ শতাংশ। সেখানে লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় ভোট বাড়িয়ে তৃণমূল ৪২.৭২ শতাংশে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে বিজেপি-র পাওয়া ভোটের একটা অংশ তৃণমূলে এসেছে। সেটা উপনির্বাচনে আরও একটু বাড়লেই কপালে ভাঁজ পড়বে বিজেপি-র।

 

Advertisement