মমতার ভবানীপুরে SIR খসড়া থেকে বাদ ৪৪ হাজার ভোটার? সবচেয়ে বেশি ফিরহাদের কেন্দ্রে

২০২৬ নির্বাচনের ঠিক আগে SIR হওয়ায় আগেই প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার সেই আশঙ্কাই যেন আরও উস্কে দিল নির্বাচন কমিশনের থেকে সদ্য প্রকাশিত ভোটার তালিকায় ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ (SIR) বা বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার থেকে প্রাপ্ত সাম্প্রতিক তথ্য।

Advertisement
মমতার ভবানীপুরে SIR খসড়া থেকে বাদ ৪৪ হাজার ভোটার? সবচেয়ে বেশি ফিরহাদের কেন্দ্রেমুখ্যমন্ত্রীর ভবানীপুর থেকে ৪৪ হাজার বেশি ভোটারের নাম বাদ
হাইলাইটস
  • কী বলছে বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার থেকে প্রাপ্ত সাম্প্রতিক তথ্য।
  • ২০২৬ নির্বাচনের ঠিক আগে SIR হওয়ায় আগেই প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
  • বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার থেকে প্রাপ্ত সাম্প্রতিক তথ্য।

২০২৬ নির্বাচনের ঠিক আগে SIR হওয়ায় আগেই প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার সেই আশঙ্কাই যেন আরও উস্কে দিল নির্বাচন কমিশনের থেকে সদ্য প্রকাশিত ভোটার তালিকায় ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ (SIR) বা বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার থেকে প্রাপ্ত সাম্প্রতিক তথ্য।

কমিশনের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, কলকাতা দক্ষিণ জেলার অন্তর্গত ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৫০৯  (২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী)। সেই তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ছে ৪৪ হাজার ৭৮৭ জনের। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রাম থেকে বাদ যেতে পারে ১০ হাজার ৮৯৯ জনের নাম।

অন্যদিকে,  কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা বন্দর থেকে বাদ যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি নাম। এখানে বাদ পড়ার সংখ্যা প্রায় ৬৩ হাজার ৭৩০। অরূপ বিশ্বাসের টালিগঞ্জ থেকে বাদ পড়ছে ৩৫ হাজার ৩০৯ জনের। এন্টালিতে বাদ পড়তে পারে ৪৯ হাজার ৮৪ জনের নাম এবং চৌরঙ্গীতে বাদ পড়তে পারে ৭৪ হাজারের বেশি নাম।

বিশেষ বিষয় হল, বৃহস্পতিবার এনুমারেশন ফর্ম গ্রহণ করার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার বিধানসভাভিত্তিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে দিল নির্বাচন কমিশন। ফলে যা নিয়ে শুরু হয়েছে পাল্টা রাজনীতিও। যদিও এখনই বিষয়টিকে নাম বাদ যাওয়া হিসেবে দেখা উচিত নয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

কারণ এই ভোটাররা আপাতত 'অমীমাংসিত'। SIR প্রক্রিয়ায় এখনও বাকি হিয়ারিং। সেখানে এই সংখ্যার হেরফেরও হতেই পারে। মনে রাখতে হবে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশ পাবে খসড়া ভোটার তালিকা। অভিযোগ বা ত্রুটি জানালে কমিশন তা খতিয়ে দেখবে শুনানির মাধ্যমে। এরপর সব নথি যাচাই করে ২০২৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করবে চূড়ান্ত তালিকা। 
 

POST A COMMENT
Advertisement