নির্বাচন ঘোষণার পরেই পুলিশে রদবদল ঘটালো নির্বাচন কমিশন। সরিয়ে দেওয়া হল এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিমকে (Javed Shamim)। তার জায়গায় নয়া এডিজি আইনশৃঙ্খলা হলে জগ মোহন (Jag Mohan)। এতদিন ডিজি ফায়ারের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। অন্যদিকে জগমোহনের ছেড়ে আসা দায়িত্ব সামলাবেন শামিম। পাশাপাশি ডিজি সিভিল ডিফেন্সের দায়িত্বও দেওয় হয়েছে শামিমকে।
কিছুদিন আগেই কলকাতা (Kolkata Police) ও রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) ব্যাপক রদবদল ঘটান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সময় এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে আনা হয় ১৯৯৫ ব্যাচের আইপিএস জাভেদ শামিমকে। তার আগে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার টু পদে ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট বলে বারেবারেই অভিযোগ করেন বিজেপি সহ অনান্য বিরোধী নেতৃত্ব। এই বিষয়ে বারেবারে কমিশনকেও জানিয়েছেন বিরেধীরা। শনিবার জাভেদ শামিমের বদলির নির্দেশের আগে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির এক প্রতিনিধ দল। তাতে ছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত, অর্জুন সিং-এর মতো নেতারা। কমিশনের কাছে 'পক্ষপাতদুষ্ট' পুলিশ আধিকারিকদের নির্বাচনী কাজের বাইরে রাখার আবেদন জানান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত জানান, "যেভাবে রাজ্যে পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে তার থেকে প্রমাণিত অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন এখানে সম্ভব নয়। শহরে দায়িত্বে রয়েছেন এমন কিছু পুলিশ আধিকারিকের নাম আমরা করতে পারি। যদি তাঁরা নিজেদের পদেই বহাল থাকেন, তাহলে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব নয়।" স্বপনবাবুর আরও দাবি, এই বিষয়ে আলোচনার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রকেও বারংবার আবেদন জানানো হয়েছে, কিন্তু তা গৃহিত হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান স্বপন দাশগুপ্ত।
অন্যদিকে কমিশনের এই পদক্ষেপের সমালোচনায় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন,"এই জিনিসটাকে খুব খারাপ ভাবে দেখছি। নির্বাচন কমিশন তার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। সকালবেলা বিজেপি নির্বাচন কমিশনের কাছে গেল এবং বিকেল বেলায় নির্বাচন কমিশন তাঁকে বদলি করে দিল। সাধারণত কোনও আইপিএস ৩ বছর আগে সচরাচর বদলি হতে পারেন না। কিন্তু সবে এক মাস হয়েছে তিনি এই পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। এক মাসের মধ্যেই তাঁকে বদলি করে দেওয়া হলো। এটা মোটেই ঠিক নয়।