'আমি ওঁকে বলি সাদা হাতি,' নাম না-করে ধনখড়কে 'কুকথা' কল্যাণের

১৯৭৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল তপন সিনহার সফেদ হাতি। ছায়াছবিটি শিশুদের সেরা ছবির জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল। পৃথিবীর সাদা হাতি খুবই বিরল একটি প্রাণী। এই হাতি পালনের খরচও অনেক বেশি। এবার সেই সাদা হাতি অবতীর্ণ রাজনীতির ময়দানে। নাম না নিয়েই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে এই বিশেষণে অভিহিত করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
 'আমি ওঁকে বলি সাদা হাতি,' নাম না-করে ধনখড়কে 'কুকথা' কল্যাণেরকল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • ফের একবার রাজ্যপালকে নিশানা তৃণমূল সাংসদের
  • সাংবিধানিক প্রধানকে রাখার খরচ নিয়ে কটাক্ষ
  • কল্যাণের নিশানা থেকে বাদ গেলেন না শুভেন্দুও

১৯৭৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল তপন সিনহার সফেদ হাতি। ছায়াছবিটি শিশুদের সেরা ছবির জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল। পৃথিবীর সাদা হাতি খুবই বিরল একটি প্রাণী। এই হাতি পালনের খরচও অনেক বেশি। এবার সেই সাদা হাতি অবতীর্ণ রাজনীতির ময়দানে। নাম না নিয়েই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে এই বিশেষণে অভিহিত করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বাঁকুড়ার মেজিয়ার শ্রীনগর কলোনি এলাকার একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, "আমি ওকে বলি হোয়াইট এলিফেন্ট, সাদা হাতি। সাদা হাতি পুষতে যত খরচা হয়, ওকে রাখতেও তেমনি খরচা হয়।" এই প্রসঙ্গে নাম না নিয়ে দার্জিলিং যাওয়র পথে শিলিগুড়িতে রাজ্যপালের সাংবাদিক সম্মেলন নিয়েও কাটক্ষ করেন কল্যাণ, সেই সঙ্গে চলে অঙ্গভঙ্গিও। এদিন জগদীপ ধনখড়ের বপু নিয়েও মন্তব্য করতে দেখা যায় কল্যাণকে।

জগদীপ ধনখড়
জগদীপ ধনখড়

বাংলায় রাজ্যপাল হিসাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে মমতা সরকারের সম্পর্ক বাল নয়।   রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত চলছেই। বরং নির্বাচনের দিন যতই এগোচ্ছে ততই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।  গত নভেম্বরেই রাজ্যপাল এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কলকাতা পুলিশ এবং বিধান নগর পুলিশকে অনুরোধ করেছিলেন  তৃণমূল  সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের অভিযোগ ছিল , 'অপরাধীদের সাহায্য ট্যুইট করছেন রাজ্যপাল'। এখানেই থেমে থাকেনি দুই পক্ষের সংঘাত। সম্প্রতি  রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের অপসারণ দাবি করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহেই ফের একবার নাম না নিয়েই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে তাঁর শারীরিক গঠন নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে রাজ্যপালকে বিজেপির সুইপার বলে ট্যুইট করে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছিলেন কল্যাণ।

 

তবে শুধু রাজ্যপাল নন, কল্যাণের নিশানায় ছিলেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীও। শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে কল্যাণ বলেন,  "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাছের তলায় ছিলে বলে এত বড় হয়েছো। না হলে কেউ তোমায় চিনত না। তিন তিনটে দফতরের মন্ত্রী, তিনখানা সরকারি সংস্থার চেয়ারম্যান, আর কিছু দেওয়ার বাকি ছিল?" শুভেন্দু দলে থাকা কালীনও তাঁর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল কল্যাণকে। মুখ্যমন্ত্রীর আসনের দিকেই শুভেন্দুর নজর ছিল বলে এদিন নাম না করে কটাক্ষ করতেও দেখা যায় শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদকে। 

Advertisement


 

POST A COMMENT
Advertisement