সরস্বতী পুজোর সকালে হাঠৎ করেই একটি খবরে রাজনৈতিক মঞ্চ সরগরম হয়ে উঠেছে। যা নিয়ে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত খুঁজছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। মিঠন চক্রবর্তীর সঙ্গে মোহন ভাগবতের এই সাক্ষাতের পরবর্তীতে কী হতে চলেছে তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর আলোচনা। তবে যাকে নিয়ে এত গুঞ্জন সেই মিঠুন চক্রবর্তী কিন্তু আপাত ভাবে সব জল্পনায় জল ঢালতে চাইছেন। মোহন ভগবতের সঙ্গে তাঁর কেবল আধ্যাত্মিক আলোচনা হয়, এমনটাই জানিয়েছেন বলিউড সুপারস্টার। মিঠুনের কথায়, ‘ওনার সঙ্গে আমার আধ্যাত্মিক আলোচনা হয়’। মিঠুন আধ্যাত্মিক সম্পর্কের কথা বললেও মুখ খোলেননি আরএসএস প্রধান।
মঙ্গলবার সকালে অভিনেতার মাড অ্যাইল্যান্ডের বাড়িতে ভাগবতের গমন নিয়ে মিঠুন জানান, লখনউতে আরএসএস প্রধানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল। তখনই নিজের বাড়িতে ভাগবতকে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন তিনি। সেই মত আমন্ত্রণ সাড়া দিয়ে সরস্বতীপুজোর সকালেই অভিনেতার বাড়িতে হাজির হন আরএসএস প্রধান। এনিয়ে কোনও রাজনৈতিক জল্পনা নেই বলে অভিনেতা যতই দাবি করুণ বঙ্গ ভোটের আগে অনেকেই অন্যরকম গন্ধ পাচ্ছেন।
এরআগে নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে হাজির হয়েছিলন মিঠুন। প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি এবার আরএসএস-এ নাম লেখাচ্ছেন মিঠুন। একটা সময়ে বাম আমলে তৎকালীন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর সঙ্গে মিঠুনের খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতার আসার খানিক আগে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল মিঠুনের। পরে ২০১৪ সালে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে অবশ্য স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছিল সারদা কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়া। আর এই পদত্যাগের পরেই রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন মিঠুন। পরবর্তী সময়ে অভিনয় জগতেও তাঁকে বিশেষ দেখা যায়নি। এর মধ্যেই ২০১৯ সালে মিঠুনকে নিয়ে অনুপম হাজরার একটি ফেসবুক পোস্ট মিঠুনের রঙ বদল নিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। সেই সময় বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা মিঠুনের সঙ্গে তোলা ছবি ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন। সেখানে ট্যাগলাইন ছিল শীঘ্র। সেই সময় মিঠুনের বিজেপিতে যোগ দান নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল।
ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে যখন শিবির বদল চলছে, একের পর একে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা বিজেপি শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন তখন নতুন করে ভোটবাজারে উঠে এল মিঠুন চক্রবর্তীর নাম। অভিনেতা মিঠুন আজও বাংলায় বিপুল জনপ্রিয়। তাই মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর রাজনীতিতে গমন নিয়ে তৈরি হওয়া জল্পনায় জল ঢালতে চাইলেও বঙ্গ রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।