
মমতাকে (Mamata Banerjee) ই-স্কুটারে চাপানোর আগে রীতিমতো মহড়া দিয়েছিলেন রাজ্য়ের মন্ত্রীমমতাকে (Mamata Banerjee) ই-স্কুটারে চাপানোর আগে রীতিমতো মহড়া দিয়েছিলেন রাজ্য়ের মন্ত্রী। মুখ্য়মন্ত্রীকে সুরক্ষিতভাবে নবান্নে (Nabanna)পৌঁছেতে আগের দিন রাতেই হাত পাকিয়েছিলেন ই-স্কুটারে Electric Scooter। পিছনে সওয়ার ছিলেন খোদ মন্ত্রীর স্ত্রী। কীভাবে চলেছিল সেই রিহার্সাল ? খোলসা করলেন রাজ্য়ের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
৩০ বছর পর দু'চাকায় হাত
মুখ্য়মন্ত্রী নবান্নে পৌঁছে দিতে তাঁর ওপরই পড়েছিল দায়ভার। দিদির ডাকে সাড়া দিতে দেরি করেননি রাজ্য়ের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে বাদ সেধেছিল কিছু আশঙ্কাও। ফিরহাদ জানিয়েছেন, ৩০ বছর পর স্কুটারে হাত দিলেন তিনি। শেষ বার বাজাজ স্কুটার চালিয়েছিলেন ১৯৯৩-৯৪ সালে। অতীতের স্মৃতি আওড়ে মন্ত্রী জানান, বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার একাধিক এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন তিনি। আনন্দবাজারকে ফিরহাদ জানিয়েছেন, আমতলায় 'উত্তম-সুচিত্রার পথ যদি না শেষ হয়' গানের শ্যুটিং হয়েছিল বলে শুনেছিলেন তিনি। তাই সময় পেলেই স্কুটারের পিছনে স্ত্রীকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়তেন আমতলার রাস্তায়। মাঝে মাঝে মুখ থেকে বেরিয়ে আসত 'এই পথ যদি না শেষ হয়'।
রাত ১০টায় রিহার্সাল,মন্ত্রীর পিছনে বউ
মুখ্য়মন্ত্রীকে ই-স্কুটারে করে নবান্নে নিয়ে যেতে হবে। সারা দেশের নজর থাকবে সেই যাত্রায়। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদের পন্থা বেছে নিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। প্রায় তিন দশক পর স্কুটারে হাত দিতে হবে, প্রথমে বিষয়টা ভেবেই চিন্তায় পডে়ছিলেন ফিরহাদ। নতুন ই-স্কুটারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বুধবার রাতেই নেমে পড়েন মহড়ায়। স্ত্রীকে পিছনে বসিয়ে রওনা দেন ই-স্কুটার ধরে। স্বামীর কাঁধে হাত দিয়ে নাকি চালানোর শংসাপত্র দিয়েছিলেন খোদ মন্ত্রীর গিন্নি। স্ত্রীয়ের মুখে 'ভালোই চালিয়েছো' শব্দ শুনে বুকে বল পান ফিরহাদও।

বুধবারই কেনা হয়েছিল ই-স্কুটার
কলকাতার পুর প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ জানিয়েছেন, বুধবারই ই-স্কুটারে করে নবান্নে যাওয়ার কথা তাঁকে জিনিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, লাগামছাড়া পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে হবে। সেই কারণে ই-স্কুটারে করে নবান্নে যেতে চান তিনি। যেমন ভাবা তেমন কাজ। তড়িঘড়ি কেনা হয় ই-স্কুটার। রাতেই হাত পাকাতে নিজেই স্ত্রীকে নিয়ে মহড়া দেন মন্ত্রী। অবশেষে তাতেই সাফল্য। যদিও আসার পথে নিজেই চালকের আসনে বসে ই-স্কুটারে হাত পাকান মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। যার জেরে বিকেলে ৮ কিলোমিটার হাঁটতে হয় ফিরহাদকে।

অভিনব প্রতিবাদে প্রচারের আলোয় মমতা
পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির জেরে প্রতিবাদে পথে নেমেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে ইলেকট্রিক স্কুটারে চড়ে নবান্নে গিয়ে প্রচারের আলো কেড়ে নিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তিনি স্কুটারে রাস্তায় নামতেই থমকে যায় রাস্তাঘাট। চারিদিকে সবার নজর পড়ে মুখ্য়মন্ত্রীর ওপর। পথচলতি মানুষ মোবাইলে ভিডিয়ো করতে থাকেন মমতার। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য় ছাড়িয়ে দিনভর ন্যাশনাল মিডিয়ার খবরে থাকেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।