scorecardresearch
 

"বড় 'দাঙ্গাবাজ', ট্রাম্পের চেয়েও হবে খারাপ পরিণতি", মোদীকে আক্রমণ মমতার

গত সোমবার রাজ্য সফরে এসে হুগলির সাহাগঞ্জে জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকেই রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন নমো। তার ৪৮ ঘণ্টাও কাটল না। সেই মাঠে দাঁড়িয়েই এবার মোদী-শাহ জুটিকে একের পর এক বাক্যবাণে বিদ্ধ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয় মোদীকে দেশের সবচেয়ে বড় দাঙ্গাবাজ বলেও আখ্যায়িত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
মোদী-শাহকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মোদী-শাহকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী
হাইলাইটস
  • মোদী-শাহকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী
  • কটাক্ষ করলেন, 'সরকার চালাচ্ছে একটা দৈত্য, আরেকটা দানব'
  • বললেন, ‘‌একটা নেতা হোঁদল কুতকুত আর একটা কিম্ভূত কিমাকার’

গত সোমবার রাজ্য সফরে এসে হুগলির সাহাগঞ্জে  জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকেই রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন নমো। তার ৪৮ ঘণ্টাও কাটল না। সেই মাঠে দাঁড়িয়েই এবার মোদী-শাহ জুটিকে একের পর এক বাক্যবাণে বিদ্ধ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয় মোদীকে দেশের সবচেয়ে বড় দাঙ্গাবাজ বলেও আখ্যায়িত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় দাঙ্গাবাজ হলেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। এর পরেই মমতার কটাক্ষ, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকেও খারাপ পরিণত হবে মোদীর। কারণ হিংসা থেকে কিছুই অর্জন করা যায় না। 

এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহাগঞ্জের মাঠে দাঁড়িয়ে মোদী-শাহ জুটিকে দৈত্য-দানব বলেও কটাক্ষ করেন নেত্রী। নজিরবিহীন ভাষায়  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”সরকার চালাচ্ছে একটা দৈত্য, আরেকটা দানব। একটা হোঁদল কুতকুত, আরেকটা কিম্ভূত কিমাকার।” মমতা বলেন, "মোদী এবং তাঁর দানব বন্ধু, অনেক কিছু বলছে...তোমরা দু'মাস বলে নাও, আমরা তারপর বলবো। বাংলা জেতা অত সহজ নয়। এই মাটিতেই বিজেপিকে কবর দেব আমি নিশ্চিত করছি।" এরপরেই মমতা বলেন, "আমি প্রধানমন্ত্রীর পদটিকে সম্মান করি। আজ তিনি সেখানে রয়েছেন, কিন্তু কাল থাকবেন না। কারণ তিনি মিথ্যে বলছেন।"

হুগলির জনসভা থেকে সমর্থকদের দলনেত্রী বলেন, "বাংলার বিধানসভা ভোটে আমি গোলকিপারের দায়িত্ব সামলাবো এবং বিজেপিকে একটা গোলও করতে দেব না।প্রধানমন্ত্রী টেলিপ্রমটার দেখে বাংলা বলেন, আমার তা দরকার হয় না, আমি এমনিতেই গুজরাতি বলতে পারি। " 

সাহাগঞ্জের ময়দান থেকে মুখ্যমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘‌এই যে সকলে বলছে খেলা হবে। কী মা–বোনেরা, ভাইয়েরা, খেলা হবে? ২০২১ সালে একটাই খেলা হবে। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস, অন্যদিকে সিপিআইএম–কংগ্রেস–বিজেপি। আমি থাকব গোলরক্ষক। একটা গোলও করতে পারবে না। সব বারের উপর দিয়ে চলে যাবে। তবে বাংলার এই খেলায় যদি বিজেপি হেরে যায়, তাহলে বুঝে নিতে হবে সারা ভারত থেকেই ওদের বিদায় নিতে হবে।’‌

Advertisement

বাংলায় মেয়ের নিরাপদ নয় অভিযোগ করেছিলেন মোদী। বিজেপি শাসিত রাজ্যে মেয়েরা নিরাপদ কিনা তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। এই প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশএর উদাহরণ টেনে এনেছেন মমতা। অভিযোগ করেছেন, নিজের দলেই নিরাপদ নন বিজেপির মহিলা কর্মীরা। এরপরেই মমতা দাবি করেন, "কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। বলেন, আমাকে নিয়ে দলে ২০ লক্ষ কর্মী রয়েছে। এখানে আমাকে পুতে দিতে পার, কিন্তু দিল্লিতে মহিরূহের মতই আমি ফুঁড়ে উঠব। আমি আঘাত খাওয়া বাঘিনী। খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদি বাংলায় তোমরা হেরে যাও, যেনে রাখ গোখা দেশ থেকে উধাও হয়ে যাবে।" 

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে সিবিআই জেরা নিয়েও মুখ খোলেন মমতা বলেন,  "ঘরের বউকে বলছে কয়লা চোর! কত বড় দুঃসাহস এদের। মহিলাদের ন্যূনতম সম্মান দিতে জানে না। এর জবাব চাই। জবাব দিতে হবে।" একই সঙ্গে পালটা বিজেপিকে কয়লা ইস্যুতে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

Advertisement