নির্বাচনের ফলাফল বের হওয়ার পর থেকেই জেলায় জেলায় রাজনৈতিক হিংসার ছবি আসছে। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। আহত হয়েছে অনেকে। প্রচুর বাড়িঘর-দোকান ভেঙেও দেওয়া হয়েছে। জেলা জুড়ে এই তাণ্ডবের ছবি সামনে আসছে।
রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার নিন্দা সিপিএমের। ট্যুইট করে জানালেন সীতারাম ইয়েচুরি
Are these reports of gruesome violence in Bengal TMC’s ‘victory celebrations’?Condemnable.
— Sitaram Yechury (@SitaramYechury) May 3, 2021
Will be resisted & rebuffed.
Instead of focusing on combating the pandemic TMC unleashes such mayhem.
CPI(M), as always, will be with the people to protect, assist, providing relief. pic.twitter.com/zZUSfNH4wn
রাজ্যে আসছেন নাড্ডা
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে আসছেন জেপি নাড্ডা। ট্যুইট করে এমনটাই জানাল হল বিজেপির তরফে। এদিন ট্যুইট করে বিজেপির তরফে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন নাড্ডা।
BJP National President Shri @JPNadda will be visiting West Bengal on 4-5May, in view of the wide spread post results retributive violence unleashed on BJP workers and supporters by criminal elements in the TMC cadre.
— BJP (@BJP4India) May 3, 2021
He will be visiting families of the affected karyakartas.
নানুরে উত্তেজনা
নানুরে দুই মহিলা বিজেপি কর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। পাশাপাশি আরেক মহিলাকে শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
বর্ধমানে রাজনৈতিক হিংসা
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর পূর্ব বর্ধমানে রাজনৈতিক সংঘর্ষের বলি আরো ৩ জন । আহত বেশ কয়েকজন।
গত ২৪ ঘন্টায় এই নিয়ে জেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো এখনো পর্যন্ত ৪ ।পাশাপাশি জখম হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি । সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে জেলার রায়না ও জামালপুরে । জামালপুরের নবগ্রামে টিএমসি বিজেপি সংঘর্ষে মৃত তিন জন কাকলি ক্ষেত্রপাল (৪৭),শাজাহান শা ওরফে সাজু(৩৮) ও বিভাষ বাগ (৩০)। অন্যদিকে রায়নায় মৃত গণেশ মালিকের বাড়ি রায়না থানার সমসপুর গ্রামে । জামালপুরে মৃত কাকলি ও বিভাষের বাড়ি জামালপুরের নবগ্রামের ষষ্ঠিতলা ও উড়িষ্যা পাড়ায় ।আর সাজু শেখের বাড়ি জামালপুরের ভেড়িলি গ্রামে। গুরুতর জখম মানু ক্ষেত্রপাল ওরফে রূপো এবং অনিল ক্ষেত্রপালকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।অপর জখম মিঠু রহমানের চিকিৎসা হয় জামালপুর ব্লক হাসপাতালে।
উত্তপ্ত গোঘাট, আক্রান্ত বিজেপি
ভোটের ফল প্রকাশের পর এই উত্তপ্ত গোঘাট । তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতায় তৃতীয় বারের জন্য হলেও গোঘাটে কিন্তু এই বিধানসভা নির্বাচনে গোঘাট দখলে রেখেছে বিজেপি । অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশ প্রশাসনকে সামনে রেখে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করছে। গোঘাটের পান্ডুগ্রামে বিজেপি কর্মী শ্যাম মণ্ডলের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, এমনকি বাচ্চাদের কেউ মারধর, বলে অভিযগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
গোঘাট ২ব্লকের নলডুবি চৌমাথা এলাকায় দুটি দোকান আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া ও চারটি দোকন ও আরো একটি বাড়ি ব্যাপকভাবে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গোঘাট থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। আরামবাগ মহকুমা জুড়েই রবিবার রাত্রির থেকে গোঘাট আরামবাগ পুড়শুড়া খানাকুলের বিভিন্ন এলাকায় ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
বাঁকুড়ায় বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর
ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপির একটি দলীয় কার্যালয় ভাঙ্গচুর ও দলের এক্স সার্ভিসম্যান সেলের বিষ্ণুপুর কনভেনর কেশবি নাগার বাড়ির সামনে বোমাবাজি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের অভাযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের দেশড়া-কোয়ালপাড়ার ঘটনা।
যাদবপুরে বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন
ভোট শেষ,কিন্তু তারপরেও হিংসা ও সংঘর্ষের ঘটনা যেন কিছুতেই কমছে না বঙ্গে। ভোট হচ্ছে গনতন্ত্রের উৎসব। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায় নির্বাচনের আগেও যেমন সন্ত্রাসের ছবি, নির্বাচনের পরেও তাই। গতকাল রবিবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার পর থেকেই নানান জায়গা থেকে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার খবর আসছে। খবর অনুযায়ী সোমবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ৪৬ বিধানসভার ২৩৩ নম্বর বুথ সভাপতি বাবু রবি দাসের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। মারধর করা হয়েছে পরিবারের লোকজন কেও, পাশাপাশি দেওয়া হল প্রান নাশের হুমকি। অন্যদিকে গতকাল গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল মোড়ে এক বিজেপি কর্মী কালু দাসের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ, অভিযোগের তীর শাসকদলের বিরুদ্ধে। যদিও এটি বিজেপির গোষ্ঠি কোন্দল বলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূল-কংগ্রেস। বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। কলকাতা থেকে হাওড়া- বাদ যায়নি কোথাও। এমন আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন বিরোধী দলের নেতারা।
মালদাতে উত্তেজনা
কী অভিযোগ দিলীপের