তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে অভিযোগ উঠল। এর জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল চেতলা। আহত হয়েছেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)-সহ ১৫ কর্মী। এমনই দাবি করেছে বিজেপি। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, গোলমালল পাকিয়েছি বিজেপি।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, চতুর্থ দফা ভোট গ্রহণের আগেই নির্বাচনী হিংসার আঁচ সরাসরি এসে পড়ল কলকাতায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতের তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার নিল দক্ষিণ কলকাতার চেতলা এলাকা। ঘটনাস্থল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির অদূরেই।
দু'পক্ষের সংঘর্ষে পড়ে আহত হয়েছেন ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। এছাড়াও প্রায় ১৫ জন বিজেপি কর্মী চোট পেয়েছেন বলে দাবি করেছে বিজেপি। অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূলের দিকে।
ফিরহাদের অনুগামীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ রুদ্রনীলের। গোটা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাতে চেতলা থানায় জড়ো হন দুই দলের নেতারা।
বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচনী প্রচার থেকে ফিরছিলেন ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। সেই সময় তাঁর ওপর এবং তাঁর সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর তৃণমূল কর্মীরা আচমকা হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্বাচনী প্রচার থেকে চেতলার দিকে ফিরছিল বিজেপির কর্মী সমর্থকদের একটি দল। সেই সময়েই চেতলার ঠিক আগের মোড়েই মুখোমুখি এসে পড়ে তৃণমূল এবং বিজেপির দুটি দল। ঘটনাস্থলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সংখ্যাও ছিল কম।
এরপরই দুই দল মুখোমুখি হয়ে পড়লে তৃণমূল এবং বিজেপি সংঘর্ষে জড়ায়। প্রথমে হাতাহাতি থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় তুমুল মারমারি। তৃণমূল কর্মীদের কাছে বোমা সহ একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।
রীতিমতো আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই বিজেপি কর্মীদের ওপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ বিজেপির। এই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) সহ প্রায় ১৫ জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলে বিজেপির দাবি। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।