মাটিগাড়া নকশালবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক তথা প্রদেশ কংগ্রেস কার্যকরী সভাপতি সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী শঙ্কর মালাকারকে হারিয়েছেন ২৪ ঘন্টাও হয়নি। ইতিমধ্যেই জায়েন্ট কিলারের তকমা পাচ্ছেন তিনি। দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ শঙ্করবাবুকে পর্যুদস্ত করে শুধু হারানোই নয়, তিন নম্বরে ঠেলে দিয়েছেন মাটিগাড়া নকশালবাড়ির জনতা। নিজের জয়ে, আত্মবিশ্বাস আছে। তবে আগামীতে লড়াই অনেক কঠিন, তা জানেন এবং স্পষ্ট করে দিয়েছেন এই কেন্দ্রের নতুন বিধায়ক হতে চলা বিজেপির আনন্দময় বর্মন।
দার্জিলিং মোড়ের যানজট মেটানোই প্রাথমিক লক্ষ্য
তবে সাফল্য আসুক কিংবা না আসুক, বিধানসভায় গিয়ে তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য হবে শিলিগুড়ি মহকুমার আরও চার বিধায়ক কে সঙ্গে নিয়ে শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় এর যানজটের সমস্যা মেটাতে চেষ্টা করা। তিনি প্রয়োজনে অগ্রণী ভূমিকা নেবেন বলে জানিয়েছেন। জানেন, সাফল্য নাও আসতে পারে। যেহেতু বিরোধী দল রয়েছে ক্ষমতায়। তবু হাল ছাড়তে নারাজ আনন্দ। প্রয়োজনে সাংসদ রাজু বিস্তার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে তা আদায় করার চেষ্টা করবেন তারা।
সদ্য বিধায়কের দাবি
আনন্দ বাবু বলেন, মূলত গত ১০ বছরে মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি এলাকায় কোনো কাজ হয়নি। বিদায়ী বিধায়ক শঙ্করবাবু এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখেননি। তা থেকেই ক্ষোভ দানা বাঁধছিল মানুষের মনে। যা ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হয়েছে। মানুষের রায় আমাদের দায়িত্ব অনেক বাড়িয়ে দিল। তাই আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে মাটিগাড়া নকশালবাড়ির স্থানীয় সমস্যাগুলি মিটিয়ে দেওয়া। পাশাপাশি শিলিগুড়ি মহকুমা চারটি আসনে বিজয়ী হওয়ায় গোটা মহকুমা জুড়েই একাধিক সমস্যার সমাধান করতে চাই আমরা।
মূল চ্যালেঞ্জ
দার্জিলিং মোড়ে উড়ালপুলের সমস্যার কথা আগেই বলেছেন। পাশাপাশি শিলিগুড়ির এলাকাজুড়ে যে জমি দখল ও জমি মাফিয়া চক্র সক্রিয় রয়েছে, তাদের বাড়বাড়ন্ত রুখে দেওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তারা।
দলীয় কর্মীদের জন্য উদ্বেগ
পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি শিলিগুড়ি মহকুমা ১৩ ভোটের ফল বেরোনোর পর রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসায় তাদের ওপর স্থানীয়ভাবে আক্রমণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। এই জায়গা থেকে সতর্ক থাকার এবং তৃণমূলের কাছে সংযত থাকার আর্জি জানিয়েছেন আনন্দবাবু।