২০ মিনিটের সাক্ষাৎ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য় রাজনীতি। মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে দুই বিজেপি বিধায়কের সাক্ষাৎ ঘিরে শুরু দলবদলের জল্পনা। দিনের শেষে যা নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)খোঁচা দিতে ছাড়লেন না বিজেপি(BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কী বললেন এক সময়ের তৃণমূল(TMC) নেত্র্রীর আস্থাভাজন ?
এদিন রাজ্য় বিজেপির অন্য়তম কান্ডারি বলেন, ''সম্প্রতি তিনি (পড়ুন মুখ্য়মন্ত্রী) বাঁকুড়া গিয়ে বলেছেন, পচা মালরা বেরিয়ে গেলে ভালো। আবার অন্য় জায়গায় গিয়ে বলছেন,বিজেপি হল ওয়াশিং মেশিন। সব কালো লোকরা গিয়ে ওখানে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর আজকে বিজেপির বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে বিধানসভার ফ্লোরের বাইরে বলছেন,কীরে বিশ্বজিৎ ডিসিশন নিলি ?'' তৃণমূল নেত্র্রীর উদ্দেশ্য়ে শুভেন্দুর খোঁচা। ''তাহলে এখনও বিজেপি থেকে আপনার লোক দরকার আছে ? ওনার ২৫০ সিট হয়ে গেছে। পচা মালরা চলে গেছে। তাও বিজেপির দিকে হাত বাড়াতে হচ্ছে।''
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এবার বিজেপির সেই দুই বিধায়ক দেখা করলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে। সূত্রের খবর,এদিন বিধানসভায় দুই বিজেপি বিধায়ক মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক জল্পনা। তবে কি বিধানসভা নির্বাচনের 'ঘর ওয়াপসি' হচ্ছে এই দুই বিধায়কের ?
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ঘর ভাঙছে তৃণমূলের। একে একে তৃণমূল ছেডে় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন একাধিক বিধায়ক, সাংসদ। যার জেরে অস্বস্তির মধ্য়ে পড়তে হয়েছে ঘাসফুল ব্রিগেডকে। যদিও সোমবার বিধানসভায় দুই বিজেপি বিধায়কের মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ নতুন জল্পনার সৃষ্টি করেছে। এই দুই বিধায়কের মধ্য়ে রয়েছেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং। ঘটনাচক্রে এই সুনীল আবার ব্যারাকপুরের তৃণমূল ত্য়াগী বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের আত্মীয়। জানা গিয়েছে, মুখ্য়মন্ত্রীকে দেখা মাত্রই প্রণাম করেন বিশ্বজিৎ দাস। প্রায় ২০ মিনিট মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় দুই বিধায়কের।
এ বিষয়ে সুনীল সিং জানিয়েছেন, তৃণমূলে ফেরার কোনও বিষয় নেই। উনি তো সবার মুখ্য়মন্ত্রী, তাই তিনি দেখা করেছেন। এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য়ই মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর এই সাক্ষাৎ। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কাছে এমএলএ ল্যাডের টাকা নিয়েই কথা হয়েছে তাঁদের মধ্য়ে। আজ ১৬তম বিধানসভার শেষ দিন। রাজ্য় রাজনীতিতে যেখানে বিজেপি-তৃণমূল যুদ্ধং দেহি মনোভাব চলছে, সেখানে ওই দুই বিধায়কের হঠাৎ মুখ্য়মন্ত্রীর সাক্ষাৎ ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজ্য় রাজনৈতিক মহল বলছে, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হাওয়ার আর কবেশি দিন বাকি নেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নতুন করে উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করার কোনও সুযোগ নেই বিধায়কদের। সেখানে দাঁড়িয়ে কীসের টাকার কথা বলছে গিয়েছিলেন তাঁরা।
এই নিয়ে তৃণমূলের অন্য এক বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ''আমি অন্য় কাজ নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। তখনই ওরা গেছিল। ওরা এমএলএ ল্যাডের টাকা নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিল। বিশ্বজিৎ দাসের মুখ্য়মন্ত্রীকে প্রণাম নিয়ে পার্থবাবু বলেন, ও ৯৮'সাল থেকে তৃণমূল করা ছেলে। ও মুখ্য়মন্ত্রীকে দেখলে প্রণাম করবে এটাই স্বাভাবিক। এটাই বাংলার সংস্কৃতি। যা বিজেপি গুলিয়ে দিতে চাইছে।''