দলের তারকা প্রার্থীদের তুলোধোনা করলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তিনি একই সঙ্গে বিঁধেছেন দলের শীর্ষ নেতাদের একাংশকে। তাঁর মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
তিনি দলের তারকা প্রার্থীদের কয়েকজনের নাম করে সমালোচনা করেছেন। তাঁদের 'নগরীর নটী' বলেছেন। দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতারও নাম নিয়ে সরাসরি তাঁদের আক্রমণ করেছেন।মঙ্গলবার তিনি একটি টুইট করেছেন।
তথাগত রায় এর আগেও একাধিক বার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। এবার তারকা প্রার্থীদের পাশাপাশি দলের নেতাদেরও বিঁধেছেন।
টুইটে তিনি লিখেছেন, 'পায়েল শ্রাবন্তী পার্নো ইত্যাদি 'নগরীর নটীরা' নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেরিয়েছে। আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাঁদেরকে টিকিট কে দিয়েছিল কে? কেনই বা দিয়েছিল? কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি?'
পায়েল শ্রাবন্তী পার্নো ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে ? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি ?
— Tathagata Roy (@tathagata2) May 4, 2021
এদিকে, বিজেপির তনুশ্রী চক্রবর্তী, পায়েল সরকার ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে নেতা, কামারহাটির প্রার্থী মদন মিত্রর দোলের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক তৈরি হয়। ফেসবুকে পোস্ট করে অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। তিনিও বহুদিন ধরে বিজেপিতে রয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে রূপাঞ্জনা লেখেন, সত্যি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি এটা দেখার পরে।
ওই অনুষ্ঠানে পার্নো মিত্র ছিলেন না। তা সংশোধন করে পরে আরও একটি টুইট করেন তথাগত রায়। সেখানে তিনি লিখেছন, 'মদন মিত্রর সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন পার্নো মিত্র নয়, তনুশ্রী চক্রবর্তী।'
বিজেপির তারকা প্রার্থীদের মদন মিত্রর সঙ্গে দোলের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা সৌরীশ মুখোপাধ্যায় টুইটে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, 'দলের কর্মীরা চোখ চোখ রেখে লড়াই করে মৃত্য়ু বরণ করে যাচ্ছেন, আর আপনারা মদ অন এর সাথে "খেলা হবে" গানের তালে খেলা করছেন। একরাশ ধিক্কার আপনাদের।'
একুশের বিধানসভা ভোটে অনেক তারকাকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তবে তাঁদের বেশির ভাগই হেরে গিয়েছে। বিজেপি নেতারা বার বার দাবি করেছিলেন, এবার শাসন ক্ষমতার দায়িত্বে তারা আসছে। তারা ২০০-র বেশি আসন পাবে।
তাদের সেই দাবি মেলেনি। তবে ২০১৬ সালের তুলনায় ভাল ফল করেছে বিজেপি। সে সময় তাদের বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৩। এবার তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৭৭-এ। তারা এখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল।