জিতেন্দ্র হোক বা ধর্মেন্দ্র, যে কেউ যেতে পারেন! দলের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari)-এর বিজেপি-যোগ নিয়ে এই মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Bose)। বুধবার তাঁর প্রশ্ন, তিনি যদি দলে অসন্তুষ্টই থাকতেন, তা হলে ফিরে এলেন কেন?
ব্রাত্য বসু (Bratya Bose)-র দল তৃণমূল কংগ্রেস যে জিতেন্দ্রর দলত্যাগকে আদৌ গুরুত্ব দিতে চায় না, তা বোঝাতেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, অসন্তুষ্ট থাকলে, চলে যাওয়ার পরে ফের এলেন কেন? আর কেন বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কাজ করতে চাই?
দলে তারকাদের ঢোকা নিয়ে তিনি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। রাজ্যের রাজ্যের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও জৈবপ্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Bose)-র বক্তব্য, খালি তারকাই দেখছেন। কিন্তু এক কলেজের অধ্যক্ষও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূল চায় সমাজের সব স্তরের মানুষ দলে আসুন।
এদিকে, শ্রীরামপুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায় যোগ দেন তৃণমূল বিধায়ক, আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari)। সেই সভায় দিলীপ ঘোষ ছাড়াও ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারির। রাতারাতি আসানসোল পুরসভার প্রশাসক ও তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
গত ডিসেম্বরে শুভেন্দু অধিকারী যখন বিজেপি-তে যোগ দিতে চলেছেন, তখনই তাঁর নামও উঠেছিল। পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari)-র সঙ্গে বৈঠকও হয়েছিল শুভেন্দুর। তারপর ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে তিনি জানিয়ে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে ভরসা আছে। তৃণমূলেই থাকছেন।
মঙ্গলবার বিজেপি-তে যোগ দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari)। শ্রীরামপুরে সভায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
গত ডিসেম্বরেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারির। কিন্তু জিতেন্দ্রর যোগদানের সরাসরি বিরোধিতা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপি রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু, অগ্নিমিত্রা পালের মতো বিজেপি নেতানেত্রীরা।
বাবুল সুপ্রিয় দলের শীর্ষনেতৃত্বকে জানান, জিতেন্দ্রকে বিজেপি-তে নেওয়ার বিষয়ে তাঁর তীব্র আপত্তি রয়েছে। ফলে সব কিছু ঠিক হয়েও শেষ মুহূর্তে ভেস্তে যায় জিতেন্দ্রর গেরুয়া-যোগ।