ব্যারাকপুর বিধানসভায় রাজ চক্রবর্তীকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করতেই ক্ষোভের সুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক উত্তম দাসের মুখে। সংবাদমাধ্যমের সামনে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিলেন চিনি । উত্তম দাস জানান "তৃণমূল কংগ্রেস করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে। তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলাম তৃণমূল কংগ্রেসে আছি। রাজ চক্রবর্তী আমাদের এখানকার প্রার্থী হয়েছেন করেছে, আমি রাজ চক্রবর্তী কে চিনি না, উনি সিনেমা জগতের লোক, আমি সিনেমা-টিনেমা দেখিনা।
ক্ষোভের সুর তৃণমূল নেতার গলায়
তিনি আরও বলেন, এখানে সমস্যা হচ্ছে একটাই আমাদের বিগত ১০ বছরে আমাদের যে সাংসদ ছিলেন বিধায়ক ছিলেন, তারা বাইরের লোক ছিলেন তারা দলের সাথে বেইমানি করে দল ছেড়ে চলে গেছেন। আমাদের কাছে ওইটাই বড় সমস্যা চুন খেয়ে মুখ পোড়ে দই দেখে ভয় করছে। পাশে এমন ঘটনা না হয়।
আরও পড়ুন, রাজ-সোহম-সায়নী-জুন-অদিতি-কাঞ্চন-সহ এক ঝাঁক তারকা প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূলের
ব্যারাকপুরে একাধিক নেতার দলত্যাগ
উল্লেখ্য ব্যারাকপুর এর বর্তমান বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত কয়েকদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এর পরেই এই কেন্দ্রে উত্তম দাস কে প্রার্থী করা হতে পারে বলে একটা জল্পনা ছড়িয়েছিল। উত্তম দাস নিজেও আশাবাদী ছিলেন তাকেই হয়তো প্রার্থী করা হতে পারে। কিন্তু সেই জায়গায় রাজ চক্রবর্তীকে প্রার্থী করার ক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্যারাকপুরের পৌরসভার পৌর প্রশাসক। যদিও উত্তম জানা "তৃণমূল দল করছি, দলের নেতৃত্বে প্রার্থী করেছে সেখানে ক্ষোভ দেখিয়ে কোন লাভ নেই। দল যখন করব তখন ক্ষোভ দেখিয়ে কোন লাভ নেই।"
ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা
তিনি বলেন "দল হয়তো বুঝেছে যে আমরা স্থানীয়রা এখনো উপযুক্ত হয়নি, অনুপযুক্ত আছি। যে কারণে এখানে সমস্ত কেন্দ্রে স্থানীয় প্রার্থী দেওয়া হয়েছে অথচ ব্যারাকপুরে আমরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করেছি, গত নির্বাচনগুলিতে আমরা এই ব্যারাকপুর থেকে লিড নিয়েছে। এখন দল মনে করেছে এখানকার স্থানীয় প্রার্থী উপযুক্ত নয়, তাই বাইরের প্রার্থী দিয়েছে।" শেষে উত্তম দাস জানান "আমি প্রথমেই বলেছি রাজ চক্রবর্তী কে আমি চিনি না কারণ তিনি সিনেমা জগতের লোক। তিনি কি করেন, কি না করেন- আমি জানিনা। আমি শুনলাম যে রাজ চক্রবর্তী একজন চিত্রপরিচালক। এখন মানুষ যদি তাকে চায় তাহলে সে জিতবে। সেটা মানুষই ঠিক করবেন। তবে দলের কর্মী হিসেবে প্রচারণা থেকে শুরু করে যা যা প্রয়োজন তা করবেন বলে জানান উত্তম দাস।