scorecardresearch
 

West Bengal Assembly Election 2021: সিঙ্গুরের জেলায় BJP-র উত্থান! 'বিবদমান' হুগলি মাথাব্যথা মমতার 

এই হুগলিতেই সিঙ্গুর আন্দোলন মমতার। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত হুগলিতে একাধিপত্য ছিল তৃণমূলের। কিন্তু ২০১৪-র পর থেকেই খেলা ঘুরতে শুরু করে। মূলত, সিঙ্গুর আন্দোলনকে টার্গেট করে বিজেপি।

Advertisement
ছবিটি নিজস্ব ছবিটি নিজস্ব
হাইলাইটস
  • নীচুতলার কর্মীদের উপরেই ভরসা
  • হুগলি মাথাব্যথা
  • হুগলির পরিস্থিতি

রাজনীতিতে দল পরিবর্তন নিয়ে ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী উইলস্টন চার্চিল বলেছিলেন, 'Some men change their party for the sake of their principles; others their principles for the sake of their party'। একুশের বাংলায় ঠিক যে ভাবে দল বদল চলছে, তাতে 'নীতি' শব্দবন্ধটা কতটা প্রাসঙ্গিক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

নীচুতলার কর্মীদের উপরেই ভরসা

তৃণমূলের বেসুরো নেতাদের হুগলির পুরশুড়ার সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, 'যাঁরা চাইছেন, তাড়াতাড়ি চলে যান, ট্রেন ছেড়ে দেবে। যাঁরা যাঁরা লাইন দিয়ে আছেন, তাঁরা ওঁদের পায়ে গিয়ে পড়ুন। বিজেপি একটি ওয়াশিং মেশিন। চোরগুলো বিজেপিতে গিয়ে সাদা হয়ে যাচ্ছে। অনেক টাকা করেছে, কালো টাকাকে সাদা টাকা করতে বিজেপিতে যাচ্ছে অনেকে।' একই সঙ্গে হুগলিতে সভার শুরুতেই মমতা বললেন, 'বুথকর্মীরাই দলের সম্পদ। আজকের সভা তাঁদেরই উত্‍সর্গ করা হল।'

হুগলি মাথাব্যথা

কেন হুগলিতে শুরুতেই দলের নীচুতলার কর্মীদের চাঙ্গা করতে সচেষ্ট হচ্ছেন মমতা? হুগলি জেলাটি মমতাকে অনেক দিন ধরেই ভাবাচ্ছে। মূলত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বেচারাম মান্না থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, অপরূপা পোদ্দার, রত্না দে নাগ, প্রবীর ঘোষাল, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-- বিবাদের শেষ নেই। মমতার সভায় হাজির ছিলেন না উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। ইতিমধ্যেই তাঁর বিজেপি-তে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন প্রবীর ঘোষাল।

হুগলির পরিস্থিতি

এই হুগলিতেই সিঙ্গুর আন্দোলন মমতার। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত হুগলিতে একাধিপত্য ছিল তৃণমূলের। কিন্তু ২০১৪-র পর থেকেই খেলা ঘুরতে শুরু করে। মূলত, সিঙ্গুর আন্দোলনকে টার্গেট করে বিজেপি। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যে খানে তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগ প্রায় লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিতে যান, সেখানে ২০১৯ সালে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তিনি ৭৩ হাজারের বেশি ভোটে হেরে যান। এছাড়াও সিঙ্গুরে তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য প্রকাশ্যে তৃণমূলের আরেক বিধায়ক বেচারাম মান্নার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এদিকে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ছেলে আবার পা বাড়িয়ে রেখেছেন বিজেপি-র দিকে।

Advertisement

কয়েক দিন আগে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'লকেট চট্টোপাধ্যায়দের মতো নেত্রীকে হুগলি সমর্থন করেছে। আগামী দিনে বিজেপি হুগলি থেকে ভালো ফল করবে। হুগলি জেলায় আমার বিশ্বাস, শূন্য হাতে ফিরতে হবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেডকে।'

মূলত, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ক্ষুব্ধ হুগলি জেলার মানুষ। যার ফায়দা লোকসভায় তুলেছে বিজেপি। একুশের বিধানসভাতে অন্তত হুগলিতে জমি ছাড়তে নারাজ মমতা। তাই দলীয় নেতৃত্বের থেকেও তিনি জোর দিলেন নীচু তলার কর্মীদেরই।

সমস্যাটা আসলে উপরতলায়। মমতা বিলক্ষণ তা জানেন। 

Advertisement