ফ্যাক্ট চেক: বাংলাদেশি হওয়ার কারণে হাসপাতালে নেই ঠাঁই! স্ক্রিপ্টেড ভিডিয়ো ছড়াচ্ছে বিভ্রান্তিকর দাবিতে  

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিয়োটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার কারণে নাকি এ রাজ্যের কোনও হাসপাতালে জায়গা দেওয়া হয়নি জনৈক রোগীকে

Advertisement
ফ্যাক্ট চেক: বাংলাদেশি হওয়ার কারণে হাসপাতালে নেই ঠাঁই! স্ক্রিপ্টেড ভিডিয়ো ছড়াচ্ছে বিভ্রান্তিকর দাবিতে  

বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হারের পর বাংলাদেশি দর্শকের একাংশের পৈশাচিক উল্লাস ভালভাবে নেয়নি এ পারের বাঙালি সমাজ। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার একটা বড় অংশে বাংলাদেশি পণ্য এবং বাংলাদেশিদের বয়কট করার ডাক দেওয়া হচ্ছে। 

এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিয়োটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার কারণে নাকি এ রাজ্যের কোনও হাসপাতালে জায়গা দেওয়া হয়নি জনৈক রোগীকে। একাধিক ফেসবুক ব্য়বহারকারী এই ভিডিয়োটি শেয়ার করে এমন দাবি করেছেন। 

ভিডিয়োটি অনেকেই একটি আসল ঘটনা মনে করে শেয়ার করছেন। কেউ কেউ যখন এই পুরো বিষয়টি নাটক বলে ধরে নিয়েছেন, কেউ আবার সত্যিই আসল বলে মনে করছেন। এই ধরনের ভিডিয়োর নীচে করা কমেন্ট থেকে তা অনুমান করাই যায়। 

ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক টিম অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভিডিয়ো আসলে স্ক্রিপ্টেড। অর্থাৎ, পুরো ঘটনাটি বানানো ও ভিডিয়োও বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। 

কীভাবে জানা গেল সত্যি 

ভাইরাল ভিডিয়োটির থেকে স্ক্রিনশট সংগ্রহ করে তার রিভার্স ইমেজ সার্চ করতে সবার প্রথম ওই একই ভিডিয়ো আমরা দেখতে পাই Comedy Proccessing Unit নামের একটি ফেসবুক পেজে। এই পেজ থেকে প্রায়শই নানা ভিডিয়ো তৈরি করা হয়। 

সেই পেজ থেকে গত ৪ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় এই ভিডিয়োটি প্রথমবার আপলোড করা হয়। সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা হয়, "বাংলাদেশি, বলে “হাসপাতালেও” জায়গা নেই!!" 

এই ভিডিয়োটি ভালোভাবে লক্ষ্য করলে এর ১৮ সেকেন্ডের মাথায় একটি Disclaimer অর্থাৎ বিবৃতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে লেখা, "এই ভিডিয়োটি শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য বানানো হয়েছে। কাউকে আঘাত করার জন্য এটি তৈরি করা হয়নি। এবং এই ভিডিয়োটি সত্যি ভেবে ঘটনা ভাববেন না।" 

Advertisement

অর্থাৎ খুব পরিষ্কারভাবেই এটা বোঝা যায় যে ভিডিয়োটিতে যা যা দেখা গিয়েছে তা একেবারেই সত্যি ঘটনা নয়। ওই পেজের অন্যান্য কয়েকটি ভিডিয়ো দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে যে ভাইরাল ভিডিয়োটিতে যাদের দেখা যাচ্ছে তারা সকলেই অভিনেতা। 

যেমন ওই পেজ থেকে গত ২ ডিসেম্বর এক মুচিকে নিয়ে একটি ভিডিয়ো তৈরি করা হয়েছিল। ওই ভিডিয়োতে মুচির ভূমিকায় যাকে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে, সেই একই ব্যক্তি এই ভাইরাল ভিডিয়োতে বাংলাদেশি রোগীর সন্তানের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। 

অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে ভাইরাল ভিডিয়োটি যে দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে তা বিভ্রান্তিকর। 


 

ফ্যাক্ট চেক

social media users

দাবি

বাংলাদেশি রোগীকে ভর্তি নিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতাল।

ফলাফল

ভাইরাল ভিডিয়োটি স্ক্রিপ্টেড অর্থাৎ পুরো ঘটনাটাই নাটক মাত্র।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
social media users
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদেরসংখ্যা73 7000 7000উপর পাঠান.
আপনি আমাদেরfactcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
POST A COMMENT
Advertisement