ফ্যাক্ট চেক: পরবর্তী বিশ্বকাপে তুরস্কের হয়ে খেলবেন জার্মান তারকা মেসুট ওজিল? না, দাবিটি সর্বৈব মিথ্যা 

কাতার বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে গিয়েছে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল জার্মানি। আর সেই দলের এক প্রাক্তন তারকাকে নিয়ে এ বার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট বেশ ভাইরাল হচ্ছে। সেই পোস্টে দাবি করা হচ্ছে যে এই দলের এক সময়কার সদস্য মেসুট ওজিল নাকি ২০২৬ বিশ্বকাপে তুরস্কের হয়ে খেলবেন। 

উদাহরণস্বরূপ, অনেকেই জার্মান জার্সিতে মেসুট ওজিলের একটি ছবি শেয়ার করে লিখছেন, "পরের বিশ্বকাপে তুরস্কের হয়ে মাঠে নামবে 🤍 Mesut Özil."  

ইন্ডিয়া টুডে অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম অনুসন্ধান করে দেখেছে যে দাবিটি সত্যি নয়। মেসুট ওজিল ২০১৮ সালেই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে সন্ন্যাস ঘোষণা করেছেন। ফিফার নিয়মাবলীও তাঁকে অন্য দেশের হয়ে খেলার অনুমতি দেয় না। 

আফয়া অনুসন্ধান 

কিওয়ার্ড সার্চের সাহায্যে আমরা খুঁজে বের করি যে মেসুট ওজিল ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ তুলে এবং এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণা করেন। তারপর থেকেই ওজিলকে আর জার্মানির জার্সিতে খেলতে দেখা যায়নি। 

এরপর আমরা খোঁজার চেষ্টা করি যে বর্তমানে ওজিল কোন ক্লাবে খেলছেন। ফুটবল বিষয়ক প্রখ্যাত ওয়েবসাইট Goal.com থেকে আমরা জানতে পারি যে তিনি বর্তমানে তুরস্কের Medipol İstanbul Başakşehir নামক ক্লাবে খেলেন। এমন কোনও খবর বা প্রতিবেদনও আমরা পাইনি যেখানে লেখা হয় যে ওজিল পরের বিশ্বকাপ তুরস্কের হয়ে খেলবেন। 

এমন প্রতিবেদন প্রকাশ পাওয়াও অবশ্য অবাস্তব। কারণ, তুরস্ক ২০২৬ সালে আদৌ বিশ্বকাপ খেলবে কিনা তা এখনও চূড়ান্ত নয়। কারণ, বিশ্বকাপে খেলতে হলে প্রত্যেকটি দলকে যোগ্যতা অর্জন পর্ব সফলভাবে উত্তীর্ণ হতে হয়, শুধুমাত্র আয়োজক দেশ ছাড়া। কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আমরা খুঁজে পাই যে ১৯৫৬ সালের পর কেবলমাত্র ২০০২ বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়েছিল তুরস্ক। গত ২০ বছরে তারা আর কোনও বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি। ২০২৬-এ পারবে কিনা তা সময়ই বলবে। 

ফিফার নিয়ম কী বলছে? 

যেহেতু ওজিল ২০১৪ এবং ২০১৮ বিশ্বকাপ জার্মানির জার্সি গায়ে চাপিয়ে খেলেছেন, তাই আমরা খুঁজে দেখি যে এই ক্ষেত্রে ফিফার কী নিয়ম রয়েছে। ফিফায় নিয়মাবলী অনুসারে, কোনও ফুটবলার নিজের দেশের হয়ে বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে একবার অংশ নিয়ে ফেললে ভবিষ্যতে তিনি অন্য কোনও দেশের হয়ে খেলতে পারবেন না।

সুতরাং মেসুট ওজিলকে নিয়ে ভাইরাল হওয়া দাবিটি যে সত্যি নয়, তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।