ফ্যাক্ট চেক: সনাতন ধর্মের শক্তি? না, কুমিরের পিঠে সন্ন্যাসীর বসার ভিডিওটি AI-এর চমৎকার 

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল ভিডিওটি কোনও আসল ঘটনার নয়। এই ভিডিওটি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারা তৈরি। 

Advertisement
ফ্যাক্ট চেক: সনাতন ধর্মের শক্তি? না, কুমিরের পিঠে সন্ন্যাসীর বসার ভিডিওটি AI-এর চমৎকার 

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে যেখানে গেরুয়া বসনে থাকা এক সন্ন্যাসীকে দেখা যাচ্ছে একটি কুমিরের পিঠে চেপে জলপথ পাড়ি দিতে। ১০ সেকন্ডের এই ভিডিওটি শেয়ার করে অনেকেই একে 'সনাতন ধর্মের শক্তির' বহিঃপ্রকাশ বলে লিখছেন। কেউ আবার বিষয়টিকে 'অদ্ভূত, অলৌকিক' বলেও আখ্যা দিচ্ছেন। 

ভিডিওটি পোস্ট করে কিছু ফেসবুক প্রোফাইলা ও পেজ থেকে লেখা হচ্ছে, "সনাতন ধর্মের শক্তি দেখুন, কুমিরটি পুরোহিত মহারাজকে মন্দিরে নিয়ে যায়।"

কোথাও আবার একই ভিডিও পোস্ট করে লেখা হয়েছে, "অদ্ভুত, অলৌকিক।কুমিরটি পুরোহিত মহারাজকে মন্দিরে নিয়ে যায়।" 

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল ভিডিওটি কোনও আসল ঘটনার নয়। এই ভিডিওটি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারা তৈরি। 

সত্য উন্মোচন হলো যেভাবে 

ভাইরাল ভিডিওটি ভালোভাবে লক্ষ্য করলে একটি বড় অসামঞ্জস্য দেখা যায়। ওই তথাকথিত সন্ন্যাসী যখন কুমিরের পিঠে চেপে জলপথ পাড়ি দিচ্ছেন, তখন তাঁর বাঁ হাতের আঙুলে মোট ৪টি আঙুল দেখতে পাওয়া যায়। এই ধরনের বিষয় ফাঁক সাধারণত এআই-দ্বারা তৈরি ভিডিওতে দেখা যায়। 

আসল ঘটনা জানতে ভাইরাল ভিডিওটি থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে সেটিকে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে খোঁজা হলে ওই একই ভিডিওটি একটি ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যায়। ভিডিওটি ১০ জুন পোস্ট করা হয়েছিল। 

এই ভিডিওতে চিনা ভাষায় বেশ কিছু ওয়াটারমার্ক পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে ভিডিওটির শেষে চিনা ভাষায় থাকা একটি কিউআর কোডও মেলে।

ওই কিউআর কোড স্ক্যান করা হলে তা সরাসরি নিয়ে চলে যায় kuaishou.com নামের একটি চিনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। এই প্ল্যাটফর্মে The Devil's World নামের একটি প্রোফাইল থেকে একই ভিডিও আপলোড করা হয়েছিল। 

Advertisement

এখানে ভিডিওটি আপলোড করে ক্যাপশন ও বিবরণে যা লেখা ছিল, তার অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, "বিপজ্জনক আচরণ, কাল্পনিক বিষয়বস্তু, অনুকরণ করবেন না।" 'কাল্পনিক বিষয়বস্তু' লেখা কথা থেকে অনুমান করা যায় যে ভিডিওটি খুব সম্ভবত কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে।

The Devil's World নামের ওই প্রোফাইলে একই ধরনের আরও ভিডিও পাওয়া যায় যেগুলি এআই দ্বারা নির্মিত। ভিডিওগুলিতে কোথাও অবিশ্বাস্য বিশালাকার শূকর, কচ্ছপ ইত্যাদি দেখানো হয়েছে। কোথাও আবার মানুষের মুখ ব্যবহার করে প্রাণী তৈরি করা হয়েছে। যা দেখলে পরিষ্কার হয়ে যায় ভিডিওগুলি এআই দ্বারা সৃষ্টি। 

এরপর ভাইরাল ভিডিওটিকে cantilux.com নামে এআই পরীক্ষার ওয়েবসাইট দ্বারা পরীক্ষা করা হয়। যাচাই করে দেখা যায় এই ভিডিওটি প্রায় ৮৮ শতাংশ এআই দ্বারা তৈরি বলে জানানো হচ্ছে। 

ফলে সবমিলিয়ে পরিষ্কার হয়ে যায় যে ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই। ভিডিওটি এআই দ্বারা নির্মিত। 

ফ্যাক্ট চেক

Social Media Users

দাবি

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন সন্ন্যাসী কুমিরের পিঠে চেপে জলের উপর দিয়ে যাচ্ছেন। 

ফলাফল

ভাইরাল ভিডিওটি এআই দ্বারা নির্মিত। 

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Social Media Users
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদেরসংখ্যা73 7000 7000উপর পাঠান.
আপনি আমাদেরfactcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
POST A COMMENT
Advertisement