scorecardresearch
 

ফ্যাক্ট চেক: ক্লাসরুমে খুদেকে বেধড়ক মারধর করার এই ভিডিয়োটি গত বছরের, শিক্ষককেও তখনই গ্রেফতার করা হয় 

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক শিক্ষক সেখানে একটি ছাত্রকে লাঠি দিয়ে মেরেই চলেছে। এতেও যেন মন ভরে না। এরপর ওই শিশুটিকে মাটিতে ফেলে, তার চুল ধরে পিঠে ঘুষিও মারা হয়। শিশুটি যন্ত্রণায় চিৎকার করলেও লোকটি তাকে মারা বন্ধ করে না। 

Advertisement
ফ্যাক্ট চেক: ক্লাসরুমে খুদেকে বেধড়ক মারধর করার এই ভিডিয়োটি গত বছরের ফ্যাক্ট চেক: ক্লাসরুমে খুদেকে বেধড়ক মারধর করার এই ভিডিয়োটি গত বছরের

একটি ক্লাসরুমে এক খুদে পড়ুয়াকে বেধড়ক ও নৃশংসভাবে মারধর করা এক শিক্ষকের একটি ভিডিয়ো ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। প্রথম দৃষ্টিতে ক্লাসরুমটি কম্পিউটার ক্লাস মনে হচ্ছে। কারণ, এখানে বেশ কিছু ছাত্রকে কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। 

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক শিক্ষক সেখানে একটি ছাত্রকে লাঠি দিয়ে মেরেই চলেছে। এতেও যেন মন ভরে না। এরপর ওই শিশুটিকে মাটিতে ফেলে, তার চুল ধরে পিঠে ঘুষিও মারা হয়। শিশুটি যন্ত্রণায় চিৎকার করলেও লোকটি তাকে মারা বন্ধ করে না। 

ভিডিওটি কোথাকার সেই সম্পর্কে কিছু লেখা হয়নি। তবে যতটা সম্ভব শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে যাতে এই শিক্ষককে ধরা যায়। ভিডিয়োটির সঙ্গে লেখা হয়, "অনুগ্রহ করে প্রত্যেককে এবং সমস্ত গ্রুপে পাঠান, যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই শিক্ষক গ্রেফতার হচ্ছে।" প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ভিডিয়োটি প্রায় ১৯ হাজার মানুষ শেয়ার করেছেন। 

ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক টিম অনুসন্ধান করে দেখেছে যে এই ভিডিয়োটি বিভ্রান্তিকর। প্রথমত ভিডিয়োটি প্রায় বছরখানেক পুরনো। দ্বিতীয়ত, ওই শিক্ষককেও এই ঘটনার পরই গ্রেফতার করে নেওয়া হয়। 

কীভাবে জানা গেল সত্যি? 

সবার প্রথম ভাইরাল ভিডিয়োটি থেকে স্ক্রিনশট সংগ্রহ করে তার রিভার্স ইমেজ সার্চ করতেই আমরা ওই ঘটনার ছবিগুলি সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর একটি টুইটে দেখতে পাই। ৭ জুলাই, ২০২২ এ প্রকাশিত এই টুইটে লেখা হয়, বিহারের টিউশন শিক্ষক অন্তত কুমারকে ৬ বছরের এক ছাত্রকে নির্মমভাবে মারধর করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। 

পটনার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট এমএস ঢিলোঁকে উদ্ধৃত করে বলা হয় যে, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনও ঘটনাটির দিকে দৃষ্টিপাত করেছে এবং ওই শিক্ষককে বিহারের নালন্দা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। 

'দ্য কুইন্ট'-এর একটি খবরে বলা হয়েছে , এই ভিডিয়োটি পটনার ধানরুয়া এলাকায় অবস্থিত একটি কোচিং সেন্টারের। এখানকার এক শিক্ষক ছয় বছর বয়সী এক ছাত্রকে এমন মারধর করেছিল যে সে জ্ঞান হারায়। ২০২২ সালের জুলাই মাসে এই ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র মতো বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এ ঘটনা নিয়ে খবর করেছিল। এই সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, অমরকান্ত কুমার একজন মহিলা ছাত্রের সঙ্গে কথা বলার জন্য ছয় বছরের শিশুটিকে মারধর করেছিলেন।

আমাদের তদন্তে এটা স্পষ্ট যে বিহারের এক বছরের পুরনো ঘটনাকে এখনকার বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ভিউ এবং লাইক জোগাড়ের উদ্দেশ্যে এই পুরানো ভিডিওটি শেয়ার করার জন্য একটি আবেদন করা হচ্ছে। এই ভিডিওটি গত বছর ভাইরাল হয়েছিল একটি বিভ্রান্তিকর দাবির সঙ্গে। সে সময়ও ইন্ডিয়া টুডে তার ফ্যাক্ট চেক করে। 

ফ্যাক্ট চেক

facebook user

দাবি

শিশুকে নির্যাতনকারী এই শিক্ষক গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত ভিডিয়োটি শেয়ার করুন।

ফলাফল

এই ভিডিয়োটি ২০২২ সালের জুলাই মাসে বিহারের ঘটনা। ওই শিক্ষককেও তখনই গ্রেফতার করা হয়েছিল।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  • কাক: অর্ধসত্য
  • একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  • অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
facebook user
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের সংখ্যা 73 7000 7000 উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
Advertisement