
পারলে- জি বিস্কুটের প্যাকেটে একটি বাচ্চা মেয়ের ছবির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। এবার সেই ছবি নিয়ে ভাইরাল হলো একটি ফেসবুক পোস্ট। সেখানে একদিকে রয়েছে পারলে- জি বিস্কুটের সেই মেয়েটির ছবি আর তার পাশে রয়েছে লেখিকা ও সমাজ সেবী সুধা মুরথির ছবি। দাবী করা হয়েছে পারলে- জি বিস্কুটের সেই বাচ্চা মেয়েটি আজ সত্তোর্রদ্ধা সুধা মুরথি। ফেসবুক ক্যাপশনে লেখা " পারলে- জি বিস্কুটের গায়ে যেই মেয়েটির ছবি দেখা যায়, সে এখন ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নারী। প্রথম ছবিটি তোলা হয়, যখন তার বয়স ৪ বছর ৩ মাস ছিল।“
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল দাবীটি বিভ্রান্তিকর। পারলে- জি বিস্কুটের সেই বাচ্চা মেয়েটি একটি কাল্পনিক চরিত্র মাত্র , বাস্তবে কোনো বাচ্চা মেয়ে নয়।
পারলে- জি বিস্কুটের প্যাকেটে বাচ্চা মেয়েটি কে, তাই নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি এর আগেও ছড়িয়েছে। আমরা কী ওয়ার্ড সার্চের সাহায্যে পারলে- জি বিস্কুটের নিজস্ব একটি ফেসবুক পোস্ট খুঁজে পাই। ২০১৬ সালের করা এই পোস্টে পারলে- জির তরফ থেকে মেয়েটির ছবি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার উদ্দেশ্যে ইন্ডিয়া টাইমস ওয়েবসাইটের একটি প্রতিবেদনের লিংক পোস্ট করা হয়।
ইন্ডিয়া টাইমস- এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাচ্চা মেয়েটিকে নিয়ে ছড়িয়েছে গুজব। বিস্কুট কোম্পানির শীর্ষ আধিকারিক মায়াঙ্ক শাহ সেই প্রতিবেদনে জানিয়েছেন যে মেয়েটির সমন্ধে যা কিছু রটেছে তার সবই গুজব।
আমরা ২০১৩ সালে দ্য ইকোনোমিক টাইমস এর প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি মেয়েটির আসল পরিচয়। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পারলে-জির গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার মায়াঙ্ক শাহ জানিয়েছেন যে বিস্কিটের প্যাকেটের ওপর বাচ্চা মেয়েটির ছবি ১৯৬০ সালে এভারেস্ট ক্রিয়েটিভ কোম্পানির সৃষ্টি , বাস্তবে কোনো সত্যিকারের মেয়ের ছবি নয় সেটি।
সুধা মুরথি ইনফোসিস কোম্পানির চেয়ারপারসন এবং একজন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও লেখিকা। সুতরাং , ভাইরাল পোস্টের দাবীটি বিভ্রান্তিকর। পারলে-জি বিস্কিটের প্যাকেটের ওপর বাচ্চা মেয়েটির ছবির সঙ্গে সুধা মুরথির কোনো সম্পর্ক নেই।
পারলে- জি বিস্কুটের সেই বাচ্চা মেয়েটি আজ সত্তোর্রদ্ধা সুধা মুরথি।
পারলে- জি বিস্কুটের সেই বাচ্চা মেয়েটি একটি কাল্পনিক চরিত্র মাত্র , বাস্তবে কোনো বাচ্চা মেয়ে নয়।